ফরিদপুরঃ জেলার বাগাট ইউনিয়নের মধুমতি নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে প্রভাবশালী একটি মহল। বালু উত্তোলনের কারনে ফসলী জমি ও নানা স্থাপনা রয়েছে হুমকির মুখে। এছাড়া বালু উত্তোলনের কারনে শুস্ক মৌসুমেও মধুমতি নদীর পাড় ভাঙ্গছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতির পাশাপাশি ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা একাধিকবার প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বললেও তার কোন সুরাহা হচ্ছেনা। বালুখেকোদের কারনে স্থানীয়রা এখন অতিষ্ঠ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাগাট ইউনিয়নের মধুমতি নদীর উত্তর পাড়ের ১৪নং গোমরা মৌজার বিভিন্ন সরকারী জায়গা হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। বড় বড় বেশ কয়েকটি ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে প্রায় ২ মাস ধরে বালু উত্তোলন করছে। নদীর পাড় থেকে শুরু করে বড় বড় পাইপের মাধ্যমে দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার দুরে বালু ফেলা হচ্ছে। বড় বড় পাইপ ফেলার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ফসলের মাঠ। মাঠে বিভিন্ন ধরনের ফসল রয়েছে। আর এসব ফসল পাইপের কারনে এবং বালু পড়ে ফসল নষ্ট করছে। বালু উত্তোলনের কারনে আশপাশের বাড়ী ঘর, স্কুল-মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, সরকারী রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।
অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মধুমতি নদীর পাড়ে স্থানীয় গ্রামবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাগাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান মোল্যা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক জালালউদ্দিন, বাগাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাদশা শেখ, আবদুর রহিম, আজিজুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নদী থেকে বালু কাটার কারনে নদী তীরবর্তী ৪টি গ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এখন আতংকের মধ্যে রয়েছে। ৬ হাজার ফসলী জমি, স্কুল-মসজিদ, মাদ্রাসা হুমকির মুখে পড়েছে। অবিলম্বে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানানো হয়।
আগামীনিউজ/এমবুইউ