ভোলাঃ জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ এনে পুনর্নির্বাচনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আল আমীন।
মঙ্গলবার সন্ধা সাড়ে সাতটায় ভোলা জেলা ডিজিটাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আল আমীন বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জসিম উদ্দিন হায়দার চেয়ারম্যান থাকা-কালীন ভোটারদের সাথে অসৎ আচরণ করেছেন। পরে ভোটাররা তাকে নির্বাচন করার জন্য বলেন। ভোটারদের ডাকে সাড়া পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। এলাকায় ৮০ ভাগ ভোট থাকা সত্বে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) জসিম উদ্দিন হায়দার সন্ত্রাসী বাহিনী ও অর্থের বিনিময় ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ২,৪,৭,৮ ও ৯ নম্বর ভোট কেন্দ্রের ভোট গণনায় কারচুপি করে। এছাড়াও ১,৩,৫ ও ৬ নম্বর ভোট কেন্দ্রে তার এজেন্ট (আনারসপ্রতীক) কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে নৌকার পক্ষে সিল মেরে ভোট নিয়ে যায়। নৌকায় সিল মারার সময় আমি উপস্থিত হলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জসিম উদ্দিন হায়দারের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ওপর হামলা ও গাড়ী ভাঙচুর করে।
আল আমীন আরও বলেন, কোন ওয়ার্ডে কত ভোট পেয়েছি এখন পর্যন্ত আমি জানতে পারেনি। বারবার নির্বাচন কমিশনারকে ভোট গণনা বন্ধ করার কথা বলেও কোন প্রতিকার পাইনি। তাই বড় মানিকা ইউনিয়নে পুনর্নির্বাচনের দাবী জানান তিনি। এসময় আল আমীনের কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারকে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাচন অফিসার শহীদুল্লা বলেন, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী আল আমীন এসব মনগড়া কথা বলছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আল আমীনের এজেন্ট ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে মি. শহীদুল্লা বলেন, এসব বিষয় সঙ্গে সঙ্গে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হত।
আগামীনিউজ/নাসির