ঝালকাঠিঃ সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ জনে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিন গত রাত ৩টার দিকে সুগন্ধা নদীর গাবখান ধানসিঁড়ি এলাকায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চটিতে আগুন লাগে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৩৮ জনের লাশ পাওয়া গেছে। দগ্ধ অবস্থায় ৭০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। আমাদের পাঁচটি ইউনিট উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। পুরো লঞ্চটি পুড়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। লঞ্চে হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পুরো লঞ্চে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।’
জানা গেছে, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। এতে প্রায় হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে পার্শ্ববর্তী দিয়াকুল এলাকায় ভেড়ানো হয়।
লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এসময় লঞ্চে বেশ কয়েকজন যাত্রী দগ্ধ হয়। প্রাণে বাঁচতে বেশ কয়েকজন নদীতে ঝাঁপ দেন। যাত্রীদের ধারণা হতাহতের সংখ্যা অনেক।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা শুক্রবার সকালে জানান, ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া এলাকায় পৌঁছালে লঞ্চটিতে আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক জানান, ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যাত্রীদের উদ্ধারে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. আমির হোসেন বলেন, ‘দুইশর বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আগামীনিউজ/বুরহান