ঠাকুরগাঁওঃ পুলিশের উপস্থিতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারধরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাউদ্দীন বাদশা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকঁচা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দীন বাদশার সমর্থকদের ওপর
পুলিশের উপস্থিতিতেই হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এছাড়া তাদের নির্বাচনী অফিস থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ইউনিয়নের ফারাবাড়ি হাটে এক সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দীন বাদশা এমনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ২১ ডিসেম্বর দুপুরে আমাদের কর্মীদের মোটরসাইকেলযোগে একটি মিছিল ফারাবাড়ি হাট অতিক্রমের সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সুব্রত কুমার বর্মনের লোকজন আমাদের পথরোধ করে মারধর করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। উল্টো আমাদেরকেই গালিগালাজ করে এবং থানায় ধরে নিয়ে যেতে চায়। এর আগে ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আমার কর্মীসহ কয়েকজন প্রচারে যাই। এ সময় নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমার কর্মীদের মারধর করে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দীন বাদশা আরও বলেন, নৌকার প্রার্থী সুব্রত কুমার প্রতিনিয়ত বলছে প্রশাসন তার পক্ষে। তাই নির্বাচন পর্যন্ত তারা আমাকে ও আমার কোনো কর্মীকে মাঠে থাকতে দিবে না। প্রশাসনের আচরণ ও সুব্রত কুমারের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু নির্বাচন আদৌ সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে আমি চিন্তিত।
অভিযোগের কথা অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সুব্রত কুমার বর্মন মুঠোফোনে বলেন, ঘোড়া প্রতিক দেখছে তারা হেরে যাবে, জনগণ আমাকে চায়। তার কোনো জনপ্রিয়তা নেই। এখন পরিস্থিতি খারাপ করার জন্য তারা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমাদের কোনো সমর্থক তাদের কোনো অফিসে ভাঙচুর করেনি। তাদের কাউকে মারধোরও করেনি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন প্রতিবেদককে বলেন, ঘোড়া মার্কার প্রার্থী অভিযোগ দিয়েছে সেটা সত্য নয়। ঘটনা শোনামাত্র পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তারা হয়তো অতিরঞ্জিত হয়ে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছে।
আগামীনিউজ/এসএস