লক্ষ্মীপুর: প্রায় ৬ মাস আগে বিয়ে করেন মোঃ মুরাদ হোসেন (২৭)। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি। তিন মাস আগে রেষ্ট্ররেন্টের কাজে দ্বিতীয় বারের মত সৌদি আরব যান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, তিনি কাজে থেকে বাসায় যেতে পারলেন না।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় সৌদি আরব মদিনা শহর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আল হাইল নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় তার নির্মম মৃত্যু হয়েছে বলে জানাযায়।।
শুক্রবার রাতে এসংবাদ পরিবারের কাছে পৌঁছলে মা শোকে জ্ঞান হারিয়ে বর্তমানে রায়পুর সরকারি হাসপাতালর চিকিৎসাধীন। এতে শোকের মাতম বিরাজ করতে দেখা গেছে এলাকাবাসীর মাঝে।।
নিহত যুবক মুরাদ হোসেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউপির ১নং ওয়ার্ড আজগর আলী বেপারী বাড়ীর আনোয়ার হোসেন ও মা হোসনেয়ারা বেগমের ছেলে। মুরাদের পিতা-মাতা ও স্ত্রী রয়েছে। ৬ মাস আগে মুরাদ বিয়ে করেছেন।
নিহতের পরিবার ও প্রবাসী সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে সৌদিআরব থেকে বাড়ীতে এসে প্রায় ৬ মাস আগে বিয়ে করেন। তিন মাস আগে ৫ লক্ষ টাকা রিন করে আবার সৌদি আরব যান মুরাদ। গত ১২ ডিসেম্বর মোটরসাইকেলযোগে ফার্নিসার দোকানের কাজ শেষে তার শহরের বাসায় ফিরছিলেন।
এসময় বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা ১টি গাড়ি (মাইক্রো) ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তিনি মারাত্মক জখম হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) মারা যান মুরাদ।একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবরে শোকাহত মা এখন রায়পুর সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায়।
এঘটনায় কেরোয়া ইউপি সদস্য আবুল কালাম কালু মুন্সি জানান, নিহত মুরাদ ভালো ছেলে ছিলেন।
তার নির্মম মৃত্যুতে পরিবারের সাথে আমরা শোকাহত। একমাত্র ছেলের শোকে মা রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। দ্রুত তার লাশ দেশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আগামীনিউজ/ হাসান