Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দের জেরে প্রধান শিক্ষক নাজেহাল ও অবরুদ্ধ


আগামী নিউজ |  বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ০৮:৩২ পিএম
ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দের জেরে প্রধান শিক্ষক নাজেহাল ও অবরুদ্ধ

ছবিঃ আগামী নিউজ

বরগুনাঃ জেলার বেতাগীতে কুমড়াখালি শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দ্বন্দের জেরে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলামকে নাজেহাল ও  অবরুদ্ধ করা হয়েছে। 

রবিবার (০৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার  কুমড়াখালি শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিকেলে  প্রধান শিক্ষক থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর কুমড়াখালি শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে বোর্ড কর্তৃক জয়ন্তি রানীর নাম অনুমোদন দেওয়া হয়। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে কিরণ সরকার রায়ের নামও ছিলো। তবে তিনি একটি মামলার আসামি থাকায় তাকে সভাপতি নির্বাচন করা হয়নি। প্রধান শিক্ষক  অভিযোগ করেন, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান ফণীভূষণ সিংহ, বিণয় ভূষণ, দীপক কুমার রায়সহ একটি সংঘবদ্ধ দল রবিবার বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানে বাধা দেয়। এসময় প্রধান শিক্ষককে নাজেহাল ও তারা বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ভেতর থেকে অবরুদ্ধ করে রাখে। 

প্রধান  শিক্ষক মাইনুল ইসলাম বলেন,  কুমড়াখালি শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন কমিটি গঠনের পর থেকেই প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী কিরণ সরকার রায় এবং সাবেক প্রধান শিক্ষক ফণীভূষণ রায় একের পর এক টালবাহানা শুরু করতে থাকে। প্রায় এক মাস ধরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ফণি ভূষণ ও বর্তমান সভাপতি জয়ন্তি রাণীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব ঘোষিত নোটিশ অনুযায়ী, বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় বিদ্যালয়ে যাই। এসময় সাবেক সভাপতি ফণি ভূষণ ও কমিটির সদস্য বিনয় ভূষণ সিংহসহ ১০-১২ জন লোক এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা বিদ্যালয়ের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। আমি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানালে পুলিশ এবং বেতাগী ইউএনও স্যার এসে তালা ভেঙ্গে আমাকে উদ্ধার করেন। 

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জয়ন্তি রাণী বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির বিরোধের কারণে বরিশাল শিক্ষাবোর্ড থেকে আমাকে এ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করতে এবং বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল কাজ করছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’ 

এ বিষয়ে জানতে কুমড়াখালি শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ফণীভূষণ রায়ের সাথে মুঠোফোনে বলেন, আগের বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ সভাপতির স্ত্রীকে নিয়োগ দেওয়ায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক , শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিক ক্ষুব্ধ হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃস্টি হয়। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দ্বন্ধের জেরে একটি ঝামেলা হয়েছিলো। এসময় একদল বিদ্যালয়ের গেটে তালা গালিয়ে দেয়।  আমি এবং ইউএনও স্যার গিয়ে বিদ্যালয়ের তালা ভেঙ্গে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করি। 

বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ-আলম  বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দুপক্ষের বিবাদে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাটি ঘটে। আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। বাতিল হওয়া ৮ম শ্রেণির পরীক্ষা আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। আমি নিজে উপস্থিত থেকে পরীক্ষা নিবো।

আগামীনিউজ/এসআই

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে