গাজীপুর: স্ত্রী জুয়েনা আক্তারকে (২০) জবাই করে হত্যা করেছে স্বামী সুজন মিয়া। সে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার সুরিগাঁও গ্রামের রাকিব আলীর মেয়ে।
শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় মহানগরের তারগাছ (মেম্বারবাড়ি) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, সুজন পেশায় রডমিস্ত্রি এবং জুয়েনা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় হেলপার (সহকারী অপারেটর) পদে চাকরি করতেন। প্রায় তিন বছর আগে উভয় পরিবারের সম্মতিতে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জীবিকার তাগিদে তারা গাজীপুর মহানগরের তারগাছ এলাকায় চলে আসেন। ময়মনসিংহের বাসিন্দা সুজন পেশায় রডমিস্ত্রি হওয়ায় কাজের প্রয়োজনে প্রায়ই বাহিরে রাত্রী যাপন করতেন। এ নিয়ে গত কয়েকদিন যাবত তাদের সংসারে ঝগড়া ও মনোমালিন্য চলছে। এরই জের শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় স্বামী জুয়েনাকে ডেকে ভাড়া বাসার ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সুজনের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রী জুয়েনাকে জবাই করে। পরিবারের সদস্যরা চিৎকার শুনে ছাদে গিয়ে জুয়েনাকে জবাই করা অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সুজন ছাদ থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনেরা জুয়েনাকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা রাকিব আলী বলেন, সুজন নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করত। শুক্রবারও সে নেশাগ্রস্ত হয়ে বাসায় আসে। পরে ঘর থেকে মেয়েকে ছাদে ডেকে নিয়ে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আগামীনিউজ/ হাসান