নীলফামারীঃ জেলার সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নৌকা মার্কার প্রার্থী হাসিনা বেগম থানায় অভিযোগ জানিয়ে জিডি করেছেন।
অন্য ৩ জন হলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আজমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দিলনেওয়াজ খান।
জিডিতে আনিত অভিযোগে হাসিনা বেগম জানান, তিনি সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে দলের প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এ জন্য গত ২২ নভেম্বর সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে নভোএয়ার বিমান যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই দুপুর বেলা। বিমান থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করি বেলা প্রায় ১টায়। এরপর বিমানন্দর টার্মিনাল থেকে বের হলে আমার চোখে পড়ে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আজমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দিলনেওয়াজ খান। তারা আমাকে দেখতে পেয়ে নানা ধরনের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে এদিনই বেলা ২টার সময় আমাকে জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় আ’লীগের ধানমন্ডি অফিসে নিয়ে যায়। এরপর তারা আমার মোবাইল ফোন জোরপূর্বক বন্ধ করে দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেয়। আমি তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে তারা কৌশলে আমাকে সাতমসজিদ রোড জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের আলতাফ রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে বলে তুমিতো জিতবে না, এ জন্য নৌকা মার্কার মনোনয়ন প্রত্যাহার করো। তাদের এমন প্রস্তাব শুনে আমার প্রাণনাশ ও নির্বাচনে ক্ষতি হতে পারে এই আশঙ্কায় ২৩ নভেম্বর রাতে ধানমন্ডি থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী করি। থানার ডায়েরী নং-১৩৬১। এর আগে ঘটনার দিনই মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার চাপ দেয়ার অভিযোগ দলের সভাপতি দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে লিখিতভাবে জমা দেই।
থানায় জিডি ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে অভিযোগ দেয়ার বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় নৌকা মার্কার প্রার্থী হাসিনা বেগমের স্বামী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আজম আলী সরকারের সঙ্গে। তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
একই বিষয়ে কথা হয় পৌর আ’লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু’র সঙ্গে। তিনিও থানায় জিডি ও দলীয় প্রধানকে অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি সত্য বলে জানান।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিনের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি গ্রুপিং রাজনীতির শিকার হচ্ছি। আমার প্রতিপক্ষরা আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
আগামীনিউজ/নাসির