ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার বিজয়নগরে সাদিয়া আখতার (১৮) নামের এক নববধূ সঙ্গে দেখা হলো না স্বামীর। স্বামী-স্ত্রীর দেখা হওয়ার আগেই নীরবে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন সাদিয়া। এর আগে রাতে স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
গত এক বছর আগে সরাইল উপজেলার ইসলামবাদ গ্রামের যুবক সবুজের সঙ্গে টেলিফোনে বিয়ে হয়েছিল সাদিয়ার। বিয়ের পর স্বামী এখনো দেশে আসেনি। ফলে তাদের দেখাও হয়নি। এর মধ্যে সোমবার রাতে নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সাদিয়া। পুলিশ খবর পেয়ে দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের মেয়ে সাদিয়া।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উভয় পরিবারের আলোচনা ও সম্মতিতে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ৬লক্ষ টাকার কাবিননামা সাদিয়ার বিয়ে হয় সৌদি আরব প্রবাসী সবুজের সঙ্গে। স্বামী সুজন বিদেশে থাকায় টেলিফোনে বিয়ে হয় তাদের। কথা ছিল এবছর সে দেশে এসে বউকে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘরে তুলবে। কিন্তু সবুজের বাবা আশকর আলী দেশে আসলেও সে আসেনি। সবুজ বিয়ের পর থেকে তেমন খোঁজখবর নেননি সাদিয়ার। সবুজের মা সাদিয়াকে পছন্দ করে বিয়ে করান৷ কিন্তু সবুজের কোন বিয়েতে কোন মত ছিলনা।
বিয়ের পর থেকে সাদিয়া প্রতিনিয়ত স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলত। গত রাতে স্বামীর সঙ্গে কথা বলার পর পরিবারের সঙ্গে কিছুটা কথা-কাটাকাটি হয় বলে জানা গেছে। সোমবার সকালে ডাকাডাকির পর সে ঘুম থেকে না উঠলে ঘরের দরজা ভেঙে দেখা যায় দড়িতে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে হাবিবা। তবে আত্মহত্যার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি পরিবারের সদস্যরা।
এব্যাপারে বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মুহাম্মদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ফাঁসিতে ঝুঁলে এক নববধূ আত্মহত্যা করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসী এক যুবকের সাথে সাদিয়ার মোবাইলে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য হয়নি। হয়তো স্বামীর সাথে অভিমান করে সাদিয়া আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামীনিউজ/ হাসান