লক্ষ্মীপুর: জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ৪নং ইউনিয়নের ৫টি মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় নামধারী ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দানকারী মোঃ মনোয়ার হোসেন মুন্না নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে মুন্নাকে লক্ষ্মীপুর জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এরআগে শুক্রবার (১২নভেম্বর) রাতে রামগঞ্জ থানার এএসআই হাবিবুর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
মুন্না উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের উত্তর সোন্দড়া বেপারী বাড়ির আবদুল মজিদ বেপারীর ছেলে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নে ৫টি মন্দিরে দুর্গাপুজা চলাকালীন সময় গত ৬ অক্টোবর রাতে মনোয়ার হোসেন মুন্না নিজ ফেইজবুক আইডিতে লাইভে ঘোষনা দিয়ে বেশ কয়েকটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়। এ ঘটনায় নাশকতার দায়ে রামগঞ্জ থানা পুলিশ ৭ অক্টোবর বেশ কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দানকারী মুন্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটকের পর মুন্না স্বীকাররোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন হোসেন ও সেক্রেটারী মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, মুন্না ছাত্রলীগের কোন পদ-পদবিতে নাই। কোন নাশকতাকারী ছাত্রলীগ নেতা হতে পারেনা। কেউ কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকলে তার দায়িত্ব ছাত্রলীগ নেবেনা। আমরা মুন্নার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আগামীনিউজ/ হাসান