Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মঠবাড়িয়ায় সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ


আগামী নিউজ | মনিরুল ইসলাম, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১, ০২:২১ পিএম
মঠবাড়িয়ায় সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ

ছবি: আগামী নিউজ

পিরোজপুর: জেলার মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ড কুমিরমারা ওয়াপদা সড়ক থেকে ২৫ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি গাছ আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) গাছটি গোড়া থেকে কেটে ফেলা হয়। সন্ধ্যায় ওখান থেকে বিক্রির উদ্দেশ্য গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার সময় পুলিশ গাছের তিনটি গুড়ি আটক করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বকশির ঘটিচোরা গ্রামের আঃ সালামের পুত্র মোঃ বেলাল হোসেন ওয়াপদার পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করেন। ঘরের সামনে দোকানঘর বর্ধিত করার জন্য উপজেলা বন কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রায় ৩০ বছরের পুরনো একটি গাছ কেটে ফেলে বিক্রির চেষ্টা করেন।

অভিযুক্ত বেলাল বলেন, গাছটি অপসারণের জন্য আবেদন করেছি। উপজেলা বন কর্মকর্তার মৌখিক অনুমতি নিয়ে সরকারি এ গাছটি কাটা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোন রেজুলেশন ও টেন্ডার ছাড়াই গাছটি কাটা হয়েছে। প্রায় ৫ হাজার টাকার ডালপালা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গাছের মূল গুড়িটি ইঞ্জিন ভ্যানে করে আগে থেকেই ঠিক করা স'মিলে (করাত কল) পৌঁছে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়।

ইঞ্জিন ভ্যান চালক ওয়ালিউল্লাহ জানান,গাছটি সন্ধ্যার পরপরই আমার গাড়িতে উঠানো হয়। তবে কোথায় নেওয়া হবে তা এখনও আমাকে বলেনি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাছ নিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল কেন তার কোন জবাব দিতে পারেনি ওই চালক।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম বালী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড মঠবাড়িয়া অফিস চত্বরে একটি সরকারি গাছ আম্পান ঝড়ে উপড়ে পড়েছে। প্রায় তিন বছর ধরে বন বিভাগের সাথে চিঠি চালাচালি করেও ওই গাছটি অপসারণ করা সম্ভব হয় নি। অথচ কোন রেজুলেশন ও টেন্ডার ছাড়াই একজন উপজেলা বন কর্মকর্তার দোহাই দিয়ে স্থানীয়রা কিভাবে সরকারি গাছ বিক্রি করে তা আমার জানা নেই। এছাড়া ওয়াপদা সড়কের গাছ বিক্রির ক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও অবহিত করা উচিত।

এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ ফখর উদ্দিন জানান, গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এজন্য কেটে ফেলা হয়েছে। এখন গাছটি জব্দ করে রাজস্ব আদায় করা হবে। এব্যাপারে অভিযুক্ত বেলাল এর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সামাজিক বনায়নের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেন জানান, বিভাগীয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ছাড়া সরকারি গাছ কাটতে অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার উপজেলা বন কর্মকর্তার নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

আগামীনিউজ/ হাসান

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে