কুমিল্লাঃ কুমিল্লায় সহিংসতার মামলায় কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর ব্যক্তিগত সহকারীকে (পিএস) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাঙামাটির সাজেক থেকে শনিবার রাতে পিএস মঈনুদ্দীন আহমেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম।
তিনি জানান, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের দল সাজেকের একটি রিসোর্ট থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি জানান, গত ১৩ অক্টোবর সহিংসতার ঘটনার পরে পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান বাবু। বাবুর বিরুদ্ধে ভাঙচুর, নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলার বাদী পুলিশ, অন্যটির বাদী পূজা ব্যবস্থাপনার আহ্বায়ক তরুণ কান্তি মোদক মিথুন।
কুমিল্লায় সহিংসতা তৈরি হওয়ার জন্য তাকে অভিযুক্ত করেছেন এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া ঘটনার পর থেকেই মঈনুদ্দীন আহমেদ বাবুর নাম আসতে থাকে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক বাহিনীর কর্মকর্তারাও বলছেন, ওই ঘটনায় ইকবাল হোসেন প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেও ১৩ অক্টোবর সকালে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে তৎপর ছিলেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে মঈনুদ্দীন আহমেদ বাবু অন্যতম।
পুলিশ পরিদর্শক (আদালত) সালাহ উদ্দিন আল মাহমুদ জানান, বাবুর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। নানুয়া দিঘিরপাড়ে হামলার অভিযোগে মণ্ডপের ব্যবস্থাপক তরুণ কান্তি মোদক এবং ঠাকুরপাড়ার শ্রী শ্রী কালী গাছতলা মন্দিরে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। ২ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মঈনুদ্দিন আহমেদ বাবুকে ঘটনার দিন সকালে নানুয়া দিঘিরপাড়ে উপস্থিত জনতাকে উসকানি দেওয়া ব্যক্তিদের একজন হিসেবে চিহ্নিত করেন ইকবাল। বাবু স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে মেয়র সাক্কুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এই ঘটনায় তার কী ভূমিকা তা খুঁজে বের করতে আমি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
কুমিল্লার ঘটনায় বাবু ছাড়া আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন কুমিল্লা মহানগর যুবদল নেতা রোমান হাসান ও রবিউল ইসলাম।
আগামীনিউজ/শরিফ