ভোলা: জেলার দৌলতখানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দুই মেম্বারপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ২০ জন সমর্থক আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় আটটি মটরসাইকেল ও একটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ওই ওয়ার্ডের কেরানী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহতরা হলেন- চরপাতা ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বারপ্রার্থী (প্রতীক মোড়গ) সেলিমের সমর্থক আজিজল, আবদুল মালেক, বসু ব্যাপারী, রাব্বি, নুরনবী, বেলায়েত, ঈমন, আজিজল ইসলাম, রহিম, কবির ও সোহেল। অপর মেম্বারপ্রার্থী (প্রতীক ফুটবল) নুরে আলমের সমর্থক রাবেয়া, মো: ইউনুস, শাহবোরনী, বিবি জলেকা ও জামাল। তারা ভোলা ও দৌলতখান হাসপাপাতালে চিকিৎসাধীন নিয়েছেন।
ঘটনার সম্পর্কে মেম্বারপ্রার্থী সেলিম বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছি। শনিবার সমর্থকদের নিয়ে নয়াবাড়ি থেকে উঠান বৈঠক শেষ করে রওনা হলে পথিমধ্যে পথরোধ করে প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী নুরে আলমের নেতৃত্বে হানিফ মেম্বার, বাবুল, জামাল, সবুজ, বেলায়েত ও নুরজামান সহ ৪০-৫০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে তার সমর্থক আজিজল, আবদুল মালেক, বসু ব্যাপারী, রাব্বি, নুরনবী, বেলায়েত, ঈমন, আজিজল ইসলাম, রহিম,কবির ও সোহেল আহত হন। আহতরা ভোলা ও দৌলতখান হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। এছাড়াও ছয়টি মটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
এদিকে মেম্বারপ্রার্থী নুরে আলম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সেলিমের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শনিবার সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী অফিসে নির্বাচনী বিষয়ে আলাপ করছিলাম। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম মেম্বারের সমর্থকরা অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে করে আমার সমর্থক রাবেয়া, মো: ইউনুস, শাহবোরনী, বিবি জলেকা ও জামাল আহত হন। তারা দৌলতখান হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও দুটি মটরসাইকেল ও একটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়।
দৌলতখান থানার ওসি বজলার রহমান বলেন, এঘটনায় দুইপক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শেষে একপক্ষের মামলা রুজু করা হয়েছে। আরেকপক্ষের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামীনিউজ/ হাসান