সাভার (ঢাকা): মানুষের মৃত্যু অবধারিত। প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়। এই মৃত্যুর কথা মনে পড়লেই প্রথমে আমাদের কবরের কথা মনে পড়ে যায়। অন্ধকার কবরের কথা মনে পড়তেই গা শিউড়ে ওঠে। মৃত্যুর পরে সব মানুষের ঠিকানা কবর। কিন্তু যাদের নিজস্ব জমি নাই তাদের লাশ কবর দিতে যেতে হয় এলাকার কবরস্থানে। এলাকার কবরস্থানে লাশ কবর দিতে না দিলেই হয় বিপদ। খুজতে হয় উন্মুক্ত কবরস্থান। যে কবরস্থান সম্পূর্ণ উন্মুক্ত সর্বসাধারণের জন্য নির্মাণ করা হয়। এমনি একটি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত কবরস্থানের উদ্বোধন করা হয়েছে আশুলিয়ায়।
আশুলিয়ার বসবাসরত ভূমিহীন ও অন্য এলাকার শ্রমজীবি-পেশাজীবি অসহায় মানুষের কবর দেওয়া নিয়ে মাঝে মধ্যেই সমস্যা দেখা দেয়। আবার বাড়িতে পৌছাতে গেলে খরচ হয় মোটা অংকের টাকা। তাদের সবার কথা চিন্তা করে সর্বসাধারনের জন্য আশুলিয়ায় উন্মুক্ত কবরস্থানের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় এ কবরস্থানের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় প্রস্তাবিত কবরস্থানে জমিতে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোঃ মেহেদী মাসুদ মঞ্জু, ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু দেওয়ান, স্থানীয় হাজী মোঃ বিল্লাল হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় দেওয়ান মোঃ মেহেদী মাসুদ মঞ্জু বলেন, মানুষ মরনশীল, মানুষ মারা গেলে তাদেরকে কবর দিতে হয়। আপনারা জানেন অন্য,বস্ত্র-বাসস্থঅনের জন্য ৬৪ জেলার শ্রমজীবি-পেশাজীবি মানুষ আমাদের এই এলাকায় বসবাস করে, হঠাৎ তাদের কেউ মামা গেলে তার লাশ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ধরনা ধরতে হয়। কেউ স্বারা দেয়, কেউ স্বারা দেয় না। মৃত্যুর পরে লাশ নিয়ে ঘুরাঘুরি অত্যান্ত দুঃখজনক। তাদের চিন্তা করে এই কবরস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শ্রমজীবি-পেশাজীবি মানুষ যারা এই এলাকায় থাকে তাদের কেউ যেন
উল্লেখ্য এই কবরস্থানটি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত সর্বসাধারণের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলো নির্মাণবাবদ যা খরচ হবে তা বহন করবে স্থানীয়রা।
আগামীনিউজ/ হাসান