ছবি: সংগৃহীত
নেত্রকোণাঃ জেলার পূর্বধলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাংবাদিক সহ প্রতিপক্ষেও লোকজনের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) উপজেলার আন্দা বাইতুল আমান জামে মসজিদ ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনের মুদি দোকানে রাত সোয়া ৮ টায় এ হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে বেড়াইল গ্রামের মৃত শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরীর ছেলে মো.জনি (৩৩) বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বিবাদীরা হলেন বেড়াইল গ্রামের মৃত আমীর হোসেনের ছেলে মো.হোসেন আলী (৫৫), জটিয়াবর গ্রামের মৃত হামিদ মাস্টারের ছেলে মো.ছিলীম (২৫) ও মো.জাকির হোসেন (৩৫), মো.মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. শান্ত (২০), বাদল চন্দ্র দাসের ছেলে অমিত চন্দ্র দাস (২০), মহিষবের গ্রামের আঃ রহমানের ছেলে মো.হামিদ (৩৫), বালিয়া গ্রামের মৃত আঃ গফুরের ছেলে মো.সিরাজুল ইসলাম (৩৫) ও মো.হাবিবুর রহমান (৪৫), সাত্যাটি গ্রামের মৃত আবু চাঁনের ছেলে মো.রহিম (৪৫)।
অভিযোগে জানা যায়, বাদীর পরিবারের সাথে বিবাদীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে গতকাল শনিবার বাদীর ভাই মো.আসাদুজ্জামান চৌধুরী, মো.নাকমাদুল ও জাতীয় দৈনিক একুশে সংবাদ এর সাংবাদিক মো.ছাইদুল ইসলাম উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের আন্দা বাইতুল আমান জামে মসজিদ ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে হাবিবুরের মুদির দোকানে চা বিস্কুট খাওয়া শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে চলে আসার সময় বিবাদীগণ অতর্কিত হামলা চালায়। আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে গুরুতর হামলার শিকার মো.আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এ বিষয়ে বাদী মো.জনি বলেন, বিবাদীগণ আমাকেসহ আমার পরিবারের লোকজনকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছে। এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আমাদের মোটরসাইকেলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। গতকাল আমাদের খুন জখম করার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগামীনিউজ/নাসির