ঝিনাইদহঃ জেলার শৈলকুপা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। সেসময় ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ৩০টি বাড়িঘর। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলার কামান্না ও বারইহুদা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ ও শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কামান্না গ্রামের রশিদ মেম্বার ও নাহিদ মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার রশিদ মেম্বারের ছেলে ফারদিনকে মারধর করে নাহিদ মোল্লার সমর্থক আমির হোসেনের ছেলে হামিদুর রহমান। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে হামিদুরের চাচাতো ভাই নাঈম হোসেনকে মারধর করে ফারদিন ও তার ভাই ফাহিম। মারধরের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নাহিদ মোল্লার সমর্থকরা রশিদ মেম্বারের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ ঘটনার খবর পার্শ্ববর্তী বারইহুদা গ্রামে পৌঁছালে সেখানেও সংঘর্ষ বেঁধে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় ওই দুই গ্রামে সংঘর্ষ চলে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে শৈলকুপা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে শৈলকুপা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আগামীনিউজ/বুরহান