চট্রগ্রামঃ নগরীর জেল রোড এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণার সময় ৫ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলাতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, যশোরের মনিরামপুর থানার পলাশ হোসেন, পাবনার সুজানগর থানার খয়রান গ্রামের আবদুর রাজ্জাক, ঢাকার আশুলিয়া থানার জামগড়া গ্রামের জাকির আহমেদ জীবন, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার পুকুরহাঁটি গ্রামের মো. শামীম মিয়া ও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার শিদলাই গ্রামের আল ইমরান। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিন হাজার ডলার উদ্ধার করা হয়। এসব ডলার তারা এক ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ফ্রিল্যান্সার আমিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে উপার্জিত আয়ের ডলার বিক্রির জন্য তিনি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেন। এসব ডলার কেনার আগ্রহ দেখিয়ে প্রতারকরা তার সাথে যোগাযোগ করেন। ডলার কেনার জন্য জেল রোডে আসেন প্রতারকরা। আমিরুলের ই-ওয়ালেট থেকে ডলার কিনতে আগ্রহী পলাশ হোসেনের ওয়ালেটে তিন হাজার ডলার ট্রান্সফার করে দেয় আমিরুল। এ সময় তাকে ডলারের মূল্য পরিশোধ না করে উল্টো সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারকরা ক্যামেরা নিয়ে পাঁচজন তাকে ঘিরে ধরে। এরপর প্রতারকচক্রের সদস্যরা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে হুমকি দিতে থাকেন।
এ সময় আমিরুল কৌশলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন। জরুরি সেবার কল পেয়ে কোতোয়ালী থানার টহল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে চার প্রতারককে হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় একজন সটকে পড়লেও পরে অভিযান চালিয়ে তাকেও আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
অভিযানে অংশ নেওয়া কোতোয়ালী থানার এসআই মোমিনুল হাসান বলেন, আমিরুল ইসলাম একজন ফ্রিল্যান্সার। তার কাছ থেকে ডলার নেওয়ার পর টাকা না দিয়ে তাকে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখাচ্ছিল প্রতারক চক্র। এ সময় অভিযান চালিয়ে চারজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে অন্য প্রতারককে আটক করতে সক্ষম হই। তাদের বিরুদ্ধে ভিকটিম আমিরুল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় পাঁচ প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবদুর রাজ্জাক ক্রাইম পেট্রোল বিডি নামের একটি অনলাইন মিডিয়ার ক্রাইম চিফ, জাকির আহমেদ জীবন উপস্থাপক, শামীম মিয়া সংবাদদাতা ও ইমরান ক্যামেরাম্যান পরিচয় দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে কথিত এই মিডিয়ার পরিচয়পত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। পরিচয়পত্রে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা দেওয়া আছে, ঢাকা জেলার উত্তরা পশ্চিম থানার ১২ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোডের ৮০ নম্বর বাড়ির এআর টাওয়ার। মূলত তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। তারা ফ্রিল্যান্সারদের টার্গেট করে ডলার হাতিয়ে নেয়।
আগামীনিউজ/শরিফ