ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার বিজয়নগরে একাকিত্ব ও অভিমানে প্রাণ গেলো মধু মিয়া (৫৫) নামের এক ব্যক্তির।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে নিজ বিটেঘরে বাশের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করেন পুলিশ।
মধু মিয়া উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কালাছড়া গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে।
মধু মিয়ার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজকে থেকে বিশ বছর আগে মধু মিয়ার প্রথম স্ত্রী অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। ওই সংসারে তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। পরে তিনি পুনরায় আবার এক প্রবাসী মহিলাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২য় সংসারেও তাদের ঘরে আবার যমজ সন্তান জন্ম নেন। পরে হঠাৎ মধুর স্ত্রী জর্ডানে চলে যান। তার স্ত্রী জর্ডান গিয়ে মধু মিয়াকে ডিভোর্সের কাগজ পাঠিয়ে দেন। তখন দুইজনের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকে মধু মিয়া মানুষিক ভাবে আরও ভেঙে পড়েন। মধু মিয়া দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ও একমাত্র ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে নিজে একাকিত্ব হয়ে পড়েন৷ মধু মিয়া এভাবে খুব কষ্টে জীবন পাড় করছিল।
পরিবারের লোকেরা ধারনা করছেন, মধু মিয়া হয়তো একাকিত্ব ও অভিমান করেই আজকে নিজ বিটেঘরে বাশের তীরের সাথে রশি লাগিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
এব্যাপারে মধু মিয়ার ছোট ভাই সাবেক সেনাসদস্য নুর ধন জানান,
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মুহাম্মদ হাসান জানান, মধু মিয়া নামের এক ব্যক্তি ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মধু মিয়া একাকিত্ব ও অভিমান করে আত্নহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি।
আগামী নিউজ/ হাসান