ভোলাঃ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাইহান আহমেদ ও সম্পাদক হাসিব মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গত ০১ অক্টোবর দৌলতখান উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেন। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ওই ঘোষণা দেওয়া হয়। তাছাড়াও নতুন পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। .
ঘোষণাকে ঘিরে রাজপথ এখন সরগরম। প্রতিদিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মিছিলে প্রকম্পিত হচ্ছে পৌর শহর ও কলেজ ক্যাম্পাস। নতুন নতুন কর্মী মিছিলে শরীক করে সম্ভব্য সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থীরা শোডাউন দিচ্ছে। ফলে সংগঠনটি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের পছন্দের প্রার্থীর যোগ্যতার ফিরিস্তি তুলে অনেকে ধরে স্ট্যাটাস দিচ্ছে।
তৌহিদুল ইসলাম নামে একজন তার ফেসবুকে লিখেছেন প্রিয় ভাই শাকিল মাহমুদের সাথে অনেক আগে থেকেই পরিচয়। তিনি খুব ভালো মনের মানুষ। সৎ,মেধাবী পরিশ্রমী। ত্যাগী আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। তাই শাকিল মাহমুদকে দৌলতখান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করার একান্ত অনুরোধ করা হলো। তার মতন এমন অভিমত প্রকাশ করেছেন অনেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে শাকিল মাহমুদ মৃর্ধা আলোচনায় রয়েছেন। তিনি উপজেলা ঐতিহ্যবাহী মৃর্ধা পরিবারে সন্তান। জেলা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও দৌলতখান উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জাহাঙ্গীর মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে। শাকিল মাহমুদ ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ শাখার সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
এব্যাপারে শাকিল মাহমুদ বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ভোলা -২ আসনের জনপ্রিয় সাংসদ মানবতার ফেরিওয়ালা আলী আজম মুকুল এমপি মহোদয়ের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটিকে সু-সংগঠিত করতে চাই। আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চাই। ছাত্রলীগকে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে উপেজেলাকে মাদকমুক্ত করতে চাই।
এদিকে তৃণমুল পর্যায়ের কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতি পদে অনেক নামের পাশাপাশি শাকিল মাহমুদ সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে। তার মাধ্যমে আগামী উপজেলা ছাত্রলীগ সু-সংগঠিত হবে বলে তারা মন্তব্য করেন।
আগামীনিউজ/নাসির