নেত্রকোণাঃ জেলার মদনে আপন বড় বোনের স্বামীর ধর্ষণে শ্যালিকার সন্তান জন্ম হওয়ার ঘটনায় মানিক মিয়া (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাকে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মানিকের সঙ্গে ভুল নাম্বারে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয় নেত্রকোনার মদন উপজেলার ভুক্তভোগী তরুণীর (১৯) বড় বোনের। দীর্ঘদিন আগে প্রেমের টানে মানিক মিয়া মদন উপজেলায় এসে ওই তরুণীর বড় বোনকে বিয়ে করে মদনেই সংসার জীবন শুরু করে। সংসার জীবনে ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে তাদের। গত বছরের কোনো একদিন মানিক মিয়া তার শ্যালিকাকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার একপর্যায়ে ওই তরুণী (শ্যালিকা) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা জানতে পেরে মানিক মিয়া নোয়াখালীতে পালিয়ে যায়।
এদিকে গত জুন মাসে ওই তরুণী (শ্যালিকা) একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী নেত্রকোনা আদালতে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে গত ২১ সেপ্টেম্বর মদন থানায় মামলা দায়ের হয়। এরই প্রেক্ষিতে মদন থানার এসআই আবদুল আজিজ ফোর্স নিয়ে শনিবার রাতে নোয়াখালীর সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রাম থেকে মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করে মদন থানায় নিয়ে আসেন।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মানিক মিয়াসহ ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। প্রধান আসামি মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করে রোববার বিকালে নেত্রকোণা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।