সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় নিখোঁজের তিন দিন পর গত রোববার প্রতিবেশীর বাসার সিড়ির নিচ থেকে রবিউল ইসলাম নামে এক শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। তবে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে হত্যার আসল রহস্য। খেলতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েই রবিউল মারা যায় বলে কিশোর আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে নিহতের বন্ধু আল আমিন।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বিকেলে ঢাকা মুখ্য বিচারিক আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ইয়াসমিন কিশোর আল আমিনের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে টঙ্গীর কিশোর শোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসআই আল মামুন কবির বলেন, আশুলিয়ার দূর্গাপুর ভাড়া বাসা থেকে প্রতিবেশী বন্ধু আল আমিনের বাসায় খেলতে যায় রবিউল। ওই সময় বাসার সবাই গার্মেন্টে থাকায় পুরো বাসা খালি ছিলো। এসময় রবিউল ও আল আমিন দুই বন্ধু নিজেদের পেশীশক্তি পরীক্ষা করতে মারামারির খেলা শুরু করে। একজন অপরজনকে ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে আল আমিনের ঘুষিতে দেয়ালে সজোরে মাথায় আঘাত পেয়ে রবিউল নিচে পড়ে যায়। পরে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সিড়ির নিচে কার্টুন ও পুরাতন প্যান্ট দিয়ে রবিউলকে ঢেকে রাখে আল আমিন। ভয়ে কাউকে কিছু না বলে ভিতরে ভিতরে অনুশোচনায় ভুগতে থাকে। এভাবে তিন দিন পর গত রোববার লাশের পঁচা দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেই দিনে থানায় মামলা রুজু হয় ।’
নিহত রবিউল ইসলাম আশুলিয়ার দূর্গাপুর এলাকার সুমন হোসেনের ছেলে। সে পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতো। বাড়ির মালিক আল আমিন শেখের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলো নিহতের পরিবার।