রাজশাহীঃ জেলার বাঘায় পদ্মার পানি বাড়ার সাথে ভাঙছে পদ্মার পাড়। এর ফলে নদী গর্ভে যাচ্ছে জমিসহ বসতভিটা। জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা করছে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড। দ্বিতীয় দফায় পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার পদ্মার চরের চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী এলাকায় ভাঙনের তীব্রতাও বাড়তে শুরু করে। এতে হুমকির মুখে পড়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও কালিদাসখালী গ্রাম। সেখানে জিও ব্যাগ ফেলে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও কালিদাসখালী গ্রাম রক্ষার জন্য রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১২ হাজার ২৮৪টি বালু ভর্তি ব্যাগ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী বিভাগের শাখা কর্মকর্তা মাহাবুব রাসেল জানান, গত ১১ দিন থেকে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলমান রয়েছে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় উপ-প্রকৌশলী সারোয়ার-ই-জাহান পদ্মার ভাঙ্গন ও জিও ব্যাগ ফেলার কাজ পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল আযমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, বাঘা-চারঘাটের সংসদ সদস্য ,পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে ভাঙ্গনের বিষয়টি রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়। পরে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। চেয়ারম্যান জানান,কালিদাশখালি গ্রামের সোলেমানের দোকানের পশ্চিম পাশ থেকে সামাদের বাড়ি পর্যন্ত ভাঙন এলাকার ২২০ মিটার পর্যন্ত জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার ঢেউয়ের ধাক্কায় ভাঙছে পাড়। এতে আতঙ্কে রয়েছে কালিদাসখালী গ্রামের বাসিন্দারা। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টিও হুমকির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে পদ্মায় দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধি পাওয়াই, দেখা দিতে পারে আবারো ভয়াবহ বন্যা।
স্থানীয় মিলন সেখ নামের একজন জানান, পদ্মার ভাঙন রোধে যে জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করা হয়েছিল, নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে ভাঙন রক্ষায় ফেলা অনেক জিও ব্যাগ। আকস্মিকভাবে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সাথে স্রোতের তীব্রতাও বেড়েছে। এর ফলে দেখা দিয়েছে ভাঙন। মিলন জানান, যে যন্ত্র দ্বারা বালু তুলে বস্তা লোড করে নদীর তীরে নিক্ষেপ করা হত সেই আনলোড করা ২টি মেশিন গত ১ সেপ্টেম্বর, ভাঙনের কবলে পরে নদীর গর্বে চলে যায়। একটি মেশিন উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও বড় মেশিনটি তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ভাঙনের কবলে পড়ে নদী পাড়ের একটি গাছ রাতে ভেঙে পড়ে। সেই সাথে বালু আনলোড করা মেশিন নদী গর্ভে চলে যায়।