Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মধ্যপাড়া খনির পাথরের মজুদ শেষ: মুখ থুবরে পড়বে মেগা প্রকল্প


আগামী নিউজ | জিকরুল হক, উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১, ০২:৩৮ পিএম
মধ্যপাড়া খনির পাথরের মজুদ শেষ: মুখ থুবরে পড়বে মেগা প্রকল্প

ফাইল ফটো

দিনাজপুরঃ মধ্যপাড়া খনির পাথরের মজুদ শেষ হতে চলেছে। পাথর উত্তোলনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২ সেপ্টেম্বর। এ খনির পাথর ব্যবহার হচ্ছে দেশের অনেক মেগা প্রকল্পে। যেসব প্রকল্পে মধ্যপাড়া খনির পাথর ব্যবহার হচ্ছে সেসব প্রকল্প হলো মাতারবাড়ী সামদ্রিক বন্দর, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও হযরত শাহজালাল (রহঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে।

মধ্যপাড়া খনির পাথর আন্তর্জাতিকমানে অনেক উন্নত ও মজবুত। সেকারণে ওই মেগা প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপাড়া খনির পাথর। ওই খনি থেকে পাথর উত্তোলন করে ইউরোপিয়ান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি। চুক্তির মেয়াদ রয়েছে এ বছরের ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নতুন করে চুক্তি না হলে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে মুখ থুবরে পড়বে দেশের চলমান ওই তিন মেগা প্রকল্প।

খনি কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে পাথর ইয়ার্ডে প্রায় ৮০ হাজার টনের মতো মজুদ আছে। এর মধ্যে বোল্ডার ৪৫ হাজার টন, ডাস্ট ৩০ হাজার টন ও ৪০ থেকে ৬০ এবং ৬০ থেকে ৮০ মিমি সাইজের পাথর আছে ৫ হাজার টনের মতো। তবে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ২৫ থেকে ৩০ ও ৫ থেকে ২০ মিমি সাইজের পাথরের। কিন্তু এ সাইজের পাথরের মজুদ পুরোপুরি শূন্য। ফলে প্রতিদিন ক্রেতারা পাথর কিনতে এসে ফেরত যাচ্ছে। একাধিক ক্রেতার অভিযোগ ব্যাংকে অগ্রিম টাকা জমা দিলেও পাথর মিলছে না। কর্তৃপক্ষের কথা মজুদ শেষ হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বিগত ২০০৭ সালে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি থেকে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। অথচ ২০১৭ সাল পর্যন্ত লোকসান দিয়ে চলছিল খনির কার্যক্রম। পরে ২০১৮ সালে বেলারুশের জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জেটিসি) নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হলে খনি কর্তৃপক্ষ লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। গত তিন অর্থ বছরে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কর্তৃপক্ষ ৫০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। নিয়ম মতে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাস আগেই নতুন চুক্তি বা নবায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাতয় ঘটেছে ষড়যন্ত্রের কারণে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কোপানলে পড়ে নতুন চুক্তির কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

তবে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের মহা ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আবু তালেব ফারাজি জানান, খনির উৎপাদন কোনভাবেই যাতে ব্যহত না হয় সেদিককে সামনে রেখে প্রয়োজনে বর্তমানে কর্মরত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসির সঙ্গেই ৬ বছর মেয়াদে চুক্তি করা হবে শিগগির।

এদিকে খনিতে কর্মরত আছে দেশীয় প্রায় ৭০০ শ্রমিক কর্মচারী। কোনভাবে খনির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে কাজ হারিয়ে বেকারে পরিণত হবে এই শ্রমিক কর্মচারীরা। একই সঙ্গে খনিকে ঘিরে পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে আরো ১০ হাজার মানুষ।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে