কুমিল্লাঃ করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ চার মাস বন্ধ থাকার পর কুমিল্লা জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভীর। গত ১৯ আগস্ট সরকারি ঘোষণায় পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার সংবাদে জেলাজুড়ে অসংখ্য বিনোদন ও পর্যটনকেন্দ্রে বাড়ছে দর্শনার্থীর ভিড়।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছে কুমিল্লার বিনোদন স্পটগুলোতে। এর মাঝে স্বস্তি ফিরছে কুমিল্লার পর্যটন শিল্পসহ এ খাতে বিনোয়োগকারীরা।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকার চার মাস পর নতুনভাবে সেজেছে জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্থানগুলো। ঐতিহাসিক কুমিল্লা কোটবাড়ির শালবন বিহার, ময়নামতি জাদুঘর, ১৬৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত শাহ সুজা মসজিদ, রূপবান মুড়া, ওয়ার সিমিট্টি, রূপসাগর, চিড়িয়াখানা-বোটানিক্যাল গার্ডেন, চণ্ডীমুড়া মন্দির, কুমিল্লা বার্ড, নীলাচল, কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ধর্মসাগর ও নগর উদ্যান, ড. আখতার হামিদ খান প্রতিষ্ঠিত কেটিসিসির দর্শনীয় স্থান, রানীর কুটির, রাজেশপুর ইকোপার্কসহ কোটবাড়ির বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পর্যটকের উপস্থিতি প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত নানা বয়সী মানুষের পদচারনায় মুখরিত হতে শুরু করেছে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। এরই মধ্যে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা দিয়েছে কর্মচাঞ্চল্য। কোথায়ও কোথায়ও ধোয়ামোছার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা। শালবন বিহারে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসেন জহির সরকার নামে এক ব্যক্তি। ফেনী থেকে এসেছেন তিনি।
তিনি জানান, কোটবাড়ি আমাদের প্রিয় স্থান। এখানে অনেকগুলো স্পট রয়েছে। গত চারমাস পরিবার নিয়ে এক প্রকার বন্দী ছিলাম। সরকারী ঘোষণার পর পরিবার নিয়ে তাই ঘুরতে এসেছি। বুড়িচং থেকে ঘুরতে আসেন ছেলেকে নিয়ে মা সেলিনা আক্তার, তিনি বলেন, কুমিল্লা ধর্ম সাগর, নগর উদ্যান ভারি চমৎকার। অনেক দিন পর একটু ঘুরতে আসা।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিনোদন-পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও ভীড় করা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে কর্তৃপক্ষের নিদের্শনা রয়েছে।