মানিকগঞ্জঃ জেলার শিবালয়ের বীর বাশাইল গ্রামের মোমতা খাতুন(৪৫) নামের এক নারীকে মারধর করার অভিযোগ করার অভিযোগ উঠেছে।
মোমতা খাতুন ও স্থানীয়রা আজ বুধবার সকালে আগামী নিউজকে জানান, মোমতা খাতুনের প্রায় (৩০) বছর আগে জেলার গড়পাড়া এলাকায় কামাল শেখের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কামাল শেখ শশুর বাড়ীতে ঘর জামাই থাকেন। তাদের ঘরে তিন মেয়ে ও এক ছেলে স্বামীকে নিয়ে মোমতা ঘর সংসার করতে থাকেন। মোমতা খাতুনের সংসারে অভাবের কারনে এলাকার মানুষের বাড়ী কাজ ও স্থানীয় বাজারে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালিয়ে আসছেন। তার স্বামী কামাল শেখ ভ্যান চালক।
মোমতা বাবার বাড়ী থাকায় তার ভাইয়েরা বোনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় প্রায় এক লাখ টাকা ধার নেয়। ভাইদের কাছে ধার কৃত টাকা চাওয়ায় ভাইয়েরা গত প্রায় দুই মাস আগে ৬৯হাজার টাকা বোন মোমতাকে দিয়ে বাড়ী থেকে ঘরদরজা ভেঙ্গে রাস্তায় ফেলে রেখেছে।
কিন্ত বোন মোমতা বাপের ওয়াশিস চাইলে তাকে গত বুধবার বিকেলে ভাই শফি উদ্দিনসহ তার পরিবারের লোকজন পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাড়ী থেকে তারিয়ে দিয়েছেন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উথলী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মমোতার বড় বোন খাতুন জানান, তার ছোট বোন মোমতাকে ভাই শফি উদ্দিনসহ তার পরিবারের লোকজন মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। সে এখন সন্তানদের নিয়ে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াছেন। থানা থেকে অভিযোগ তুলে নেওয়া জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মোমতা খাতুনের ভাই শফি উদ্দিন জানান, মোমতার কাছ থেকে দারকৃত গ্রাম্য শালিসের মাধ্য ৬৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আর ওয়ারিসের জমি পাবে। মোমতা তার বাড়ীর ঘরে ওঠে তার জায়দা দাবী করায় ধাক্কাধাকি হয়েছে।
স্থানীয় গ্রাম্য মার্তবর আজাদ মোল্লা জানান, ঘটনাটি নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার বসে সমাধান করা হবে।
ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আলাল উদ্দিন আলাল জানান, বাবার ওয়ারিশের জমি না দিয়ে বাড়ী থেকে মোমতার ঘরদরজা ভেঙ্গে রাস্তায় ফেলে দেওয়া এটি অমানবিক কাজ করা হয়েছে। মোমতাকে ওই গ্রামে কারও বাড়ী আশ্রয় নিতে পারছে না ভাইদের ভয়ে। আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
ওসি ফিরোজ কবির জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।