পটুয়াখালীঃ সরকারী প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৯শে আগস্ট পযটন কেন্দ্র খোলার ঘোষনায় কুয়াকাটায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতিপব ও ধুমধাম আয়োজন। কুয়াকাটায় ট্যুরিজম ব্যবসায়ীদের মাঝে বইছে খুশির বন্যা।
র্দীঘ ৪ মাস ১৯ দিন পড়ে পযটন কেন্দ্রগুলো খোলার নির্দেশনা মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উপসচিব মো: রেজাউল ইসলামের স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপণ জারি করে মিডিয়ায় প্রকাশের সাথে সাথে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল, রির্সোট, রেস্তোরা ও ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা প্রচুর ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াকাটা হলিডে হোমস, সিকদার রিসোর্ট, হোটেল খান প্যালেস, গ্রেভার ইন, ওশান ভিউ, সী ক্রাউন, রেইনড্রোপ, কুয়াকাটা গেস্টহাউজ, বিচ হ্যাভেন, বনানী, কুয়াকাটা ইনসহ অর্ধশত অভিজাত হোটেল-মোটেলগুলো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাজ-গোজের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কার আগে কে হোটেল-মোটেলগুলো পরিছন্ন করে রাখতে পারে তার জন্য রিতিমত চলছে প্রতিযোগীতা। এদিকে অন্যসব ব্যবসায়ীরাও একইভাবে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
কুয়াকাটা সী ট্যুরিজমের পরিচালক জনি আলমগীর এ প্রতিবেদককে জানায়, প্রায় ৫ মাস লকডাউনের কারণে অফিসের কোন কাজ-কর্ম নেই করোনা ভাইরাসের কারণে সকল কিছুই বন্ধ রয়েছে । পযর্টনকেন্দ্র কুয়াকাটায় কয়েকশো কোটি টাকা ক্ষতি ও লোকসান হয়েছে। সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে তাতে আমরা খুব খুশি এবং সেভাবেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
থ্রী-স্টার মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান সিকদার রিসোর্টের অপারেশন ম্যানেজার এমডি আলামিন খান উজ্জল এ প্রতিনিধিকে বলেন, সরকার যে শর্ত দিয়ে পযটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার ঘোষনা দিয়েছে সে ভাবেই পযর্টকদের বরণ করতে আমাদের এ প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে এবং সেব শ্রমিকরা বাড়ীতে রয়েছে তাদেরকে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন (কুটুম)-এর সভাপতি ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব গনমাধ্যমকে বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পযটন শিল্পের সাথে দেশের লক্ষ লক্ষ লোকের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে। এসবকিছু বিবেচনা করে সরকার আগামী ১৯শে আগস্ট দেশের সকল পযর্টনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন এ জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের এএসপি মো: আব্দুল খালেক সাংবাদিকদের জানায়, পযর্টনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার ব্যপারে এখনো অফিশিয়ালি কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি, নির্দেশনা আসলে সেই মোতাবেক পযর্টকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
দেয়া হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো: শহিদুল হক গনমাধ্যমকে বলেন, পযর্টনকেন্দ্র খোলা সংক্রান্ত কোন লিখিত চিঠি বা সরকারী আদেশ এখন পযর্ন্ত পাইনি, কোন আদেশ পেলে তা জানিয়ে দেয়া হবে।