পটুয়াখালীঃ সদর উপজেলাধীন মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামে পল্লীবিদ্যুতের খুটি নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মারামারিতে ঝড়ে গেছে একটি নিষ্পাপ নবজাতকের প্রাণ।
জানা যায়, মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রাম নিবাসী আঃ রব গাজী (৫৫) এর সাথে তারই ভাই সুলতান গাজী (৫৩) এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। গত ১৬ জুলাই (শুক্রবার) বিকেল আনুঃ ৩:০০ টার সময় আঃ রব গাজীর পরিবার এবং সুলতান গাজীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের খুটি বসানোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয় এবং তা শেষ পর্যন্ত মারামারিতে রূপ নেয়।
জানা যায়, আঃ রব গাজী ও সুলতান গাজী আপন ভাই হওয়ায় তারা পাশাপাশি বসবাস করে। এদিকে বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি পটুয়াখালী থেকে নতুন পল্লী বিদ্যুতের খুটি স্থাপন করে। সেই খুটি থেকে পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ আঃ রব গাজীর বসত ঘরে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিলে সুলতান গাজী এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিরূপ মনোভাব পোষণ করে আসছিলো।
১৬ জুলাই ঘটনার দিন উভয় পক্ষে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সুলতান গাজীর ছেলে সেলিম গাজী (৩৫) আঃ রব গাজীর ছেলে মোঃ রবিউল গাজীকে দা দিয়ে কোপ দেয় এবং তাতে রবিউল গাজীর মাথার সামনের অংশে পড়িলে মারাত্মক জখম হয়। এদিকে সুলতান গাজী কাঠের রুয়া দিয়ে রবিউল গাজীকে আঘাত করিলে তা বাম পায়ের হাটুর উপর পরে। রবিউল গাজীর স্ত্রী পারভীন বেগম (২৮) রবিউল গাজীকে রক্ষা করতে আসলে সুলতান গাজীর আরেক ছেলে খোকন গাজী (২৫) বাঁশের লাঠি দিয়ে পারভীন বেগমকে পিটাইতে থাকে এবং তার তলপেটে লাথি মারে।
পারভীন বেগম অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার পেটের বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হয়। মারাত্মক অবস্থায় তাকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ১ আগষ্ট (রবিবার) বিকাল ৬:০০ টায় তিনি একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তিনি তার সন্তান হত্যার বিচার দাবী করেছেন।
এদিকে ১৮ জুলাই (রবিবার) আঃ রব গাজী ৭ জনকে আসামী করে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৩ ধারা সহ কয়েকটি ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৭১৯/২০২১। মামলায় সকল আসামীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হলে পুলিশ মামলার ১নং আসামী সেলিম গাজীকে গ্রেফতার করে এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে বাকি ৬ জন আসামী এখনও গ্রেফতার হননি।
এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আখতার মোর্শেদ বলেন, বাদী পক্ষ আমার নিকট এসেছিলো। শিঘ্রই মামলার বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।