মানিকগঞ্জঃ জেলার দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া বাজার ও আগ কলিয়া থেকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সড়কের বেহাল অবস্থা।
কলিয়া বাজার ও আগ কলিয়া গ্রামের অংশে বিশাল দুটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় কারনে সবসময় খানা খন্দে ভরপুর থাকে। ফলে সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায়শই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন।একটু বৃষ্টি নামলেই সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত বছর বন্যার সময় সড়কে পানি উঠে দুই জায়গায় ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ এক বছর পার হলেও সড়কটি সংষ্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। প্রতিদিনই এই সড়ক দিয়ে শতশত মানুষ, সি এন জি, অটোরিক্সা,ভ্যানট্রলি, সাইকেল, মোটরসাইকেল চলাচল করছে। বৃষ্টি হলে সিএনজির যাত্রীদের নামিয়ে কয়েকজন ধরাধরি করে ভাংগা জায়গা পার করতে হয়। অনেক সময় পা পিছলে ঘটে অনেক দূর্ঘটনা। এই সড়কে চলাচলকারীদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই। আর একটু পানি বাড়লেই সড়কটি দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। পানি উঠার আগেই সড়ক মেরামতের দাবি এলাকাবাসীর।
সিএনজি চালক আব্বাস জানান, দিনে ৪ থেকে ৫ বার এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। জীবনের ঝুকি নিয়ে ভাঙৃগা জায়গায় কয়েকজন ধরাধরি করে সি এন জি পার করি। কলিয়া বাজার থেকে গালা বাজার হয়ে মানিকগঞ্জ যাওয়ার জন্য বিকল্প আর একটি সড়ক রয়েছে তার অবস্থা আরও ভয়াবহ। একটু বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে। আর কয়েকদিন পরে বর্ষার পানি বাড়লেই চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
কলিয়া গ্রামের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবুল হাসান বলেন, ঢাকা থেকে আসতে সমস্ত রাস্তা ভালো কিন্তু আমার বাড়ির পিছনে আসলেই গাড়ী থেকে নেমে আসতে হয়। অনেক সময় গাড়ীরও ক্ষতি হয়। আমরা যে কি ভোগান্তির মধ্যে আছি এটা বলে শেষ করা যাবেনা। রাস্তাটি সংস্কার হলে বেঁচে যেতাম।
দৌলতপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী অনুপম চক্রবর্তী বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি, সড়কটি সনাক্ত করে যত দ্রুত সম্ভব মেরামতের ব্যবস্হা করবো।