রাঙামাটিঃ অন্যান্য জেলার সাথে পাল্লা দিয়ে রাঙামাটি জেলা সদরের করোনা সংক্রমণের হার আগের তুলনায় বর্মানে প্রায় ৩ গুনের অধিক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তারই ফলশ্রুতিতেই জেলা সদরের পাশাপাশি কোভিড-১৯ বা করোনার সংক্রমণের প্রকোপ সদরের চেয়ে এখন উপজেলা পর্যায়ে করোনার বিস্তার বেড়েছে। এমনকি সংক্রমনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি করোনা উপসর্গ নিয়ে বেশ ১০টি উপজেলার মধ্যে ৮টি উপজেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, দেশের গত ২৫জুলাই হতে আগামী ৫আগষ্ট পর্যন্ত অন্যান্য জেলার পাশাপাশি রাঙামাটিতেও কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থেকে কাজ করছেন। জেলা প্রশাসনকে লকডাউনকে বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে মাঠ পর্যায়ে রাঙামাটি জেলা পুলিশ, বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
রাঙামাটিতে কঠোর লকডাউনকে সর্বাত্বক সফল করতে জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে কাজ করছে। জনগনকে বাধ্যতামূরক মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, অযথা বাড়ী হতে বাহির না হওয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলাসহ বিভিন্ন দিক বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসন ও যৌথবাহিনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের নিদের্শনায় যতদিন না লকডাউন অব্যাহত থাকবে ততোদিন রাঙামাটি সদর সহ প্রত্যেক উপজেলার আনাচে-কানাচে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।
সুত্রে আরো জানাগেছে, অহেতুক বাড়ী হতে বাহির হলে শাস্তি বা অর্থদন্ডসহ জরিমানা গুনতে হবে। অসচেতন মানুষকে চেতন করতে আজকে এ কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। কেননা, দেশের আইনকে শ্রদ্ধাভরে অমান্য না করতো তাহলে এতবার লকডাউনের প্রয়োজন পড়তো না। সরকারের দেয়া নিদের্শনা ঠিকমতো প্রতিপালন করলে আজ কঠোর অবস্থানে থাকতে হতো না কোন জেলা প্রশাসনকে। সরকারের নির্দেশ অমান্য সামিল হওয়াতেই এই লকডাউন কার্যকর করতে কঠোর ভূমিকা নিতে হচ্ছে। তাই সকলকে এ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এদিকে সিভিল সার্জন সুত্রে জানাগেছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলা করতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প উপায় নেই বলে জানান। বাহিরে গেলে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব, হ্যান্ডস্যানিটাইজেশন ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই প্রতিপালন সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তা নাহলে করোনার সংক্রমণের রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়তেই থাকবে। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।