Dr. Neem on Daraz
Victory Day

গাজীপুরে জরুরী কারন ছাড়া ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি


আগামী নিউজ | মোক্তার হোসেন, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২১, ০৬:৫৭ পিএম
গাজীপুরে জরুরী কারন ছাড়া ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি

ছবিঃ আগামী নিউজ

গাজীপুরঃ কঠোর বিধি নিষেধের ১৪ দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৪ জুলাই) সড়ক মহাসড়কে দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর ও টঙ্গীতে কারখানা খোলা রাখার অভিযোগে কর্তৃপক্ষকে ভ্রাম্যমান আদালত দণ্ড দিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হোতাপাড়া বিমানবাহিনী গেট সংলগ্ন, রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা, চান্দনা চৌরাস্তা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী, চন্দ্রা ত্রিমোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষ ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা সাধারণ মানুষদের পথরোধ করে চলাচলের তথ্য যাচাই বাছাই করছে।

ব্যাটারী ও সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে এসব হালকা পরিবহন কোনো চেকপোষ্ট এলাকায় যেতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, পণ্যবাহী যানবাহন অবাধে চলাচল করতে দেখা গেছে। গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘেরবাজার, ভবানীপুর, শ্রীপুর পৌর শহর, মাধখলা, বরমী, গোসিঙ্গা, কাওরাইদ, রাজাবাড়ীসহ বিভিন্ন সংযোগ সড়কের মোড়ে মোড়ে চা ও কনফেকশনারী দোকানসমূহে লোকজনকে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থবিধি না মেনে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।

জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায় ব্যাটারীচালিত অটো রিক্সার চালক সোলায়মান হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা জেনেও গাড়ি নিয়ে বের হতে হয়েছে। সন্তানদের মুখের দিকে তাকালে ঘরে বসে থাকতে ইচ্ছে হয় না। ঈদে স্বজনদের কাছে থেকে যেসব খাবার পেয়েছি তা দিয়ে দুই দিন চলতে পারছি। এখন ঘরে খাবার নেই। তাই বাধ্য হয়ে রিক্সা নিয়ে বের হতে হয়েছে।

গাজীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা জানান, সঠিক কারণ জানাতে না পারলে সড়কে আসা পথচারীদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর ও টঙ্গীতে কারখানা খোলা রাখার অভিযোগে কাশিমপুর থানার সাবাবো এলাকায় নরবান কমটেক্স লিমিটেড এবং টঙ্গীর টিএন্ডটি বাজার এলাকায় আনোয়ার গ্রুপের এ ওয়ান পলিমার লিমিটেড প্লাস্টিক কারখানা চালু রাখায় দন্ড দিয়ে তা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দুটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা কারখানায় গিয়ে সংক্রমক রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২০১৮ এর ২৪ (১) ধারায় অপরাধে মামলা করে জরিমানা করেন।

এছাড়া, টঙ্গীর টিএন্ডটি বাজার এলাকায় আনোয়ার গ্রুপের এ ওয়ান পলিমার লিমিটেডের প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানা চালু রাখায় জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না রহমান জ্যোতি এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় কারখানা কর্তৃপক্ষকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় কারখানার শ্রমিকদের বের করে কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না রহমান জ্যোতি জানান, সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে কারখানাটি চালাচ্ছিলো।

কারখানার শ্রমিকেরা জানায়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা লকডাউনের মাঝেও কর্মস্থলে আসতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়াও সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে মহাসড়কে যানবাহন চালানোর অপরাধেও করা হচ্ছে জরিমানা।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে