বরগুনাঃ টাকার অভাবে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখাতে পারেনি যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী। মরার আগে হলেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখাতে চায়। এরই দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আবদুল আজিজ।
সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১ টায় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল আজিজ বলেন৷ আমি ১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযােদ্ধাদের নৌকার মাঝি হিসাবে কাজ করিতেছিলাম । আমতলী থানার তারিকাটা গ্রামের বীর মুক্তিযােদ্ধা মাে: আফাজ উদ্দিন বিশ্বাসের পরামর্শে মুক্তিযােদ্ধার সাথে যােগদান করি। আমি নৌকার মাঝি থাকাকালীন সময় বেতাগী থানার চান্দুখালী বাজারের বীর মুক্তিযােদ্ধা বজলুর রশিদ দুলাল আমার নৌকায় ছিল। কলাপাড়া থানার চড়পাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযােদ্ধা মােঃ চান মিয়া আমার নৌকায় ছিল। কলাপাড়া থানার লতাচাপলি গ্রামের বীর মুক্তিযােদ্ধা মােয়াজ্জেম হােসেন আমার নৌকায় ছিল। ১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে থাকাকালীন সময় আমি বহু ভাবে বীর মুক্তি সেনাদের বিভিন্ন ভাবে পাড়া পাড় করতে সাহায্য করি এবং সর্ব সময়ে আমার নৌকায় ১০ জন বীর মুক্তিযােদ্ধা থাকতেন। তাদেরকে নিয়া বহু কষ্ট করি। মানুষের বাড়ী থেকে এনে মুক্তিযোদ্ধাদের খাওয়াতাম।
তিনি আরও বলেন, আমতলী মুক্তিযােদ্ধা অফিসে গিয়া আমি বহু অনুনয় বিনয় করি যােদ্ধা সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য । আজ প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ছােট বড় সকলের হাতে পায়ে ধরি। প্রত্যেকেই আমার নিকট কেউ ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। কেউ ৩ লক্ষ টাকা দাবী করে। আমি দরিদ্র মানুষ পেটের খাবার যােগার করতেই আমার কষ্ট হয় । সেখানে আমি কিভাবে এতটাকা দিয়া মুক্তিযােদ্ধা সার্টিফিকেট নিব এবং আমতলী থানার বীর মুক্তিযােদ্ধা অফিসে গেলে আমার নিকট ভারতের সার্টিফিকেট চায়।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, আমাকে যাতে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।