গাজীপুরঃ জেলার কালীগঞ্জে যুবক এনামুলকে (২২) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নির্বাচনে জয়লাভ করা স্বতন্ত্র প্রার্থী খাইরুল আলমের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত পৌণে ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে এনামুল মারা যায়। ওই রাতেই আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান খাঁন ফারুক মাস্টার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত এনামুল উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মধ্যে নারগানা এলাকার আব্দুল বাতেনের ছেলে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৮ টায় ইউপি নির্বাচনের বিরোধের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী মাহবুবুর রহমান খাঁন ফারুক মাস্টার বলেন, এনামুল নৌকার পক্ষের কর্মী ছিল। প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। নির্বাচনের আগের দিন থেকেই এনামুল তার বাড়ি থেকে বের হতো না। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় সে বাড়ি থেকে বের হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা তার উপর হামলা করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৪ জুলাই) রাত পৌণে ৯ টায় এনামুল মারা যান। অভিযুক্তরা সকলেই নৌকার বিরুদ্ধে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করেছে।
জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান খাইরুল আলম বলেন, এনামুলের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতরা কেউ আমার লোক বা সমর্থক নয়। তারা সকলেই দুস্কৃতিকারী। তাদের সকলকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আবু বকর চৌধুরী জানান, তাদের মধ্যে আগে থেকেই পারিবারিক বিরোধ ছিল। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করেই হামালার ঘটনা ঘটেছে। নিহত এনামুলের চাচা আলম মিয়া উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। সে হিসেবে হামালায় নিহত এনামুল আওয়ামী পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক জানান, পুলিশ বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যববস্থা নেওয়া হবে।