Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বন্ধ হচ্ছে না শেরপুরের বাঙালী নদী থেকে বালু উত্তোলন


আগামী নিউজ | নাহিদ আল মালেক, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২১, ১১:৩২ এএম
বন্ধ হচ্ছে না শেরপুরের বাঙালী নদী থেকে বালু উত্তোলন

ছবিঃ আগামী নিউজ

বগুড়াঃ জেলার শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বার বার অভিযানের পরেও বাঙালী নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মেশিন ও পাইপ জব্দ করার দুইদিন পর থেকেই আবারো শুরু হয়েছে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব।

স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গজারিয়া ও খাামরকান্দি ইউনিয়নের নলডিঙ্গী গ্রামের বাঙালী নদীতে আবারো অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। অথচ মঙ্গলবার (৬জুলাই) সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন শেরপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন। অভিযানে বালু উত্তোলনকারীদের ধরতে না পারলেও বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত পাইপ ও ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের রুবেল আহম্মেদ এবং পার্শ্ববর্তী নলডিঙ্গী গ্রামের মিলন, রাজু আহমেদ ও শফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত বাঙালী নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যবসা করেন। ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ অভিযান পরিচালনাকালে তার গাড়িতে হামলা করে বালু উত্তোলনকারীরা। এ ঘটনায় রুবেল,মিলন, রাজুসহ ১৩ জনের নামে থানায় সরকারি কাজে বাধাদান, ভাংচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর প্রায় দুইমাস বালু উত্তোলন বন্ধ ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি তারা জামিনে মুক্ত হয়ে এসে আবারো নদী থেকে ড্রেজার মেশিনে সর্দপে বালু উত্তোলন শুরু করেছেন। অনুমতিছাড়া অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলী জমি ও বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়ছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রুবেল আহমেদ জানান, ব্যবসার জন্য নয়। নিচু জায়গা ভরাট করার জন্য নদী থেকে বালু তুলছি।

শেরপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন জানান, বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেশিন ও পাইপ জব্দ করেছে। নতুন করে আবারও বালু উত্তোলনের কোন খবর এখনো পাইনি।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে