নিহতের পিতা মহিউদ্দিন বলেন, রবিবার দুপুর আড়াইটা-তিনটার দিকে একটি ইজিবাইকে চড়ে মহেশপুরের দিকে যায় । সন্ধ্যায় একটি প্রয়োজনে আমি তাকে ফোন করি। তখন ৩৫/৪০ সেকেন্ড তার সাথে কথা বলি। আমাদের পেয়ারা ক্ষেতে জনের (মজুর) বিষয়ে কথা বলি। আমি তাকে বলি অমুক (পেয়ারা ক্ষেতের কামলা) তো কাল পেয়ারা তুলে দিতে পারবে না। অন্য লোক দেখতে হবে। সে বলে আচ্ছা বাবা আমি দেখছি। এরপর তার সাথে আর আমার কথা হয়নি। পরে তার ফোন বন্ধ পেয়েছি।
সোমবার রাত ৮টার দিকে একটি মোবাইল নম্বর থেকে পাশের বাড়ির একটি মেয়েকে ফোন করে বলা হয় রাতুল এখন আমার কাছে আছে। মেয়েটি ভাইয়াকে দেন, বলতেই ওপাশ থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এরপর থেকে ওই নম্বরটি বন্ধ আছে। এর কিছুক্ষণ পর পাশের বাড়ির আরেকটি মেয়ে তার ফোন নিয়ে এসে আমাকে দেখায়। বলে চাচা এই লাশটি চৌগাছায় পাওয়া গেছে। দেখেন তো এটি রাতুল ভাইয়ার কিনা? তখন আমি চিনতে পারি। পরে রাতেই চৌগাছা থানায় এসে মৃতদেহ শনাক্ত করি। কেনো কি কারণে কারা রাতুলকে হত্যা করেছে তা প্রাথমিকভাবে বলতে পারেননি নিহতের পিতা।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় চৌগাছা সদর ইউনিয়নের লস্কারপুর মৌজার (মন্মথপুর মাঠ) জনৈক অমেদ আলীর পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় মৃতদেহের পরনে একটি কালো প্যান্ট থাকলেও গায়ে কোন জামা ছিলো না। মুখের মাস্ক গলায় ঝুলানো, মুখ, নাক ও চোখ স্কচটেপ দিয়ে বাধা ছিলো।