ছবি : আগামী নিউজ
উত্তরাঞ্চলে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন কোনভাবেই কাজে আসছে না। ইজারাদাররা লোক দেখানো সাবান, পানি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য বিধি কোনভাবেই মানছেন না। পশুরহাটে নেই সামাজিক দূরত্ব। কালেভদ্রে দুই চারজন মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ মুখে মাস্কও পড়ছে না। হাটগুলোতে নেই এক মুখি প্রবেশ ও নির্গমন পথ। এমনি চিত্র চোখে পড়ে মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলের সর্ববহৎ পশুর হাট নীলফামারীর ঢেলাপীরে।
কথা হয় ওই হাটের ইজারদার আব্দুল মোত্তালেব হকের সঙ্গে। তিনি আগামী নিউজকে বলেন, সরকারের জারিকৃত নিয়ম মানার যথেষ্ট চেষ্টা করা হচ্ছে। হাত ধোয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে সাবান ও পানির। জীবাণু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে মাস্ক বিতরণের। কারো মুখে মাস্ক না থাকলে সেই ব্যক্তি হাটের ইজারদার অফিসে এসে মাস্ক নিতে পারেন। এ জন্য কোন বিনিময় দিতে হবে না। তবে কোন ক্রেতা বিক্রেতা যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচল করে সেক্ষেত্রে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির কিছুই করার নেই। অবশ্য হাটে প্রবেশ ও নির্গমন পথ একটি করে থাকবে এমন প্রশ্ন করা হলে মোত্তালেব হক বলেন, এতো বড় হাটে এমন ব্যবস্থা নেয়া খুব কষ্টকর ব্যাপার।
কোরবানির পশুরহাটের বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখে বিশিষ্টজনরা বলছেন স্বাস্থ্যবিধি কোরবানির পশুর হাটে মানা না হলে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে। যা ঈদ-উল-আযহার পরেই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। তাদের মতে গ্রামীণ জনপদের মানুষ এই আধুনিক যুগেও সেকেলে চিন্তায় চলতে চাইছে। মানুষ সচেতন না হলে কোনভাবেই করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে তারা জানান। একই সঙ্গে তারা বলেন, আইনের কঠোর প্রয়োগ ছাড়া কোন ভাবেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা নেই।
কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি আগামী নিউজকে জানান, স্বাস্থ্য বিধি না মানা হলে কোরবানির পশুরহাটে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।