রংপুরঃ চলমান লকডাউন ও গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দুগ্ধ খামারিরা। তারা উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে না পেরে পড়েছেন বেকায়দায়।
বর্তমানে প্রতি লিটার দুধ ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবুও মিলছে না ক্রেতা। এ অবস্থায় দুধের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৮জুলাই) সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সামনে ১০০ লিটার দুধ ঢেলে তারা এ প্রতিবাদ জানান।
খামারিরা জানান, পীরগাছা উপজেলায় প্রায় ৫ শতাধিক দুগ্ধ খামার রয়েছে। এসব খামারে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। এসব দুধ পীরগাছা বাজার, দেউতি, অন্নদানগরসহ বেশ কয়েকটি ক্রয় কেন্দ্রে দেয়া হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনে তারা দুধ নিতে অনীহা প্রকাশ করছে। স্থানীয় বাজারগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে দুধ বিক্রি দীর্ঘ সারি। হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ থাকায় তারা দুধ নিচ্ছে না। ফলে বাজারে পর্যাপ্ত ক্রেতা না থাকায় তারা দুধ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।
দুগ্ধ খামারি আবুল হোসেন বলেন, একদিকে গো-খাদ্যের দাম বেশি, অন্যদিকে বাজারে দুধের দাম নেই। দুধ বিক্রি করাও মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। আগে দুধ বিক্রি করে গরুর খাবার কিনতাম, এখন তাও হচ্ছে না। খুব বিপদে আছি।
আরেক খামারি আনোয়ার হোসেন বলেন, কার দুধ, কে খায়! বাজারে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে দুধ বিক্রি হচ্ছে না। ক্রেতা না থাকায় গরুও বিক্রি করতে পারছি না। তাই মনের দু:খে রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এসময় বক্তব্য দেন, এসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুজ্জামান সিদ্দিকী, সাধারন সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রিপন, উপজেলা পোল্ট্রি শিল্প মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক এটিএম মোজাহিদুল ইসলাম মিলন, সদস্য গোলাম আজম, বাদল মিয়া প্রমুখ। এ সময় খামারিরা সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুধ ক্রয়ের দাবি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা: মোহাম্মদ আলী বলেন, করোনার প্রথমে ভ্রাম্যমান দুধ-ডিম বিক্রির আয়োজন ছিল। বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি আবারও তা চালু করার। এছাড়াও দুধ প্যাকেটজাত করে বিক্রি করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে খামারিদের।