বরগুনাঃ জেলার বেতাগীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এবারে শনাক্তের রেকর্ডও ভেঙেছে। সংক্রমণ বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ উপজেলায় ৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তবে এ অবস্থায়ও জনগণের মধ্যে যতটুকু সচেতনতা দরকার তা নেই। স্থানীয়রা বলছেন, করোনা সংক্রমণরোধে দেশব্যাপি চলমান কঠোর বিধিনিষেধ লকডাউন মানতে শৈথিল্যতা না দেখিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া না হলে শিগগিরই করোনার উচ্চঝুঁকিপূর্ণে এলাকার তালিকায় যুক্ত হবে এ উপজেলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাচনে প্রচার ও ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনোরকম স্বাস্থবিধি মানা হয়নি। এমনকি কেন্দ্রে মাস্ক পরিধানে বাধ্যবাধকতা ছিল না। ফলে এ উপজেলায় দিন দিন সংক্রমণের বিস্তারার ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। ভাইরাসের উপসর্গ-এর সাথে সাথে ঠান্ডা-জ্বর,সর্দি,কাশি-হাচিঁ ও ব্যথার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা এখন পৌরসভা সহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ঘরে ঘরে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে জুলাই শুরু থেকে ৬ জুলাই দুপুর পর্যন্ত ১৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে এ উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৫৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এ উপজেলায় ৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত মোকামিয়া ইউনিয়নের মো: মনির হোসেন (৪০) ও সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের নয়া বরু (৭০) হাসাপতালে ভর্তি রয়েছে।
করোনার অতিসংক্রমণের কারণে ৯ এপ্রিল বেতাগী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। কিন্ত সংক্রমণ ঝুঁকির মাঝেও ২ জুন ফের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে ২৩ জুন ভোটের আয়োজন করা।
সচেতন নাগরিকদের সংগঠন সচেতন নাগরিক পরিষদ উপজেলা সভাপতি এজেডএম বদরুদ্দোজা জুয়েল বলেন, এখানে যে হারে করোনার সংক্রমণ হচ্ছে তা আশঙ্কাজনক। এর অন্যতম কারণ নির্বাচনকালীণ সময় ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। এমনকি অধিকাংশ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করতেও দেখা যায়নি। ভোটের সময় দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বিশেষ করে করোণার হটস্পটগুলো থেকে নির্বাচনীকাজে সংশ্লিস্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন এসে দায়িত্ব পালন করার সময় স্থানীয় মানুষের সাথে মিলে-মিশে যায়। এতে সংক্রমণের বিস্তার ভয়াবহ রুপ নেয় বলে আশঙ্কা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্তকর্তা ডা: তেন মং বলেন, মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাবের পাশাপাশি নির্বাচনে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন জানান, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও অভিযান পরিচালনা করে আসছেন।