Dr. Neem on Daraz
Victory Day

গাজীপুরে পিসিআর মেশিনের বায়োসেপ্টিক কেবিনেট দিচ্ছে বিজিএমইএ


আগামী নিউজ | মোক্তার হোসেন, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২১, ১১:০৬ পিএম
গাজীপুরে পিসিআর মেশিনের বায়োসেপ্টিক কেবিনেট দিচ্ছে বিজিএমইএ

ফাইল ছবি

গাজীপুরঃ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার পিসিআর মেশিনের জন্য বায়োসেপ্টিক কেবিনেটে ল্যামিনার ফ্লু দিচ্ছে বিজিএমইএ। রবিবার গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম তরিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, করোনা পরীক্ষা জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর মেশিনটির বায়োসেপ্টিক কেবিনেটে ল্যামিনার ফ্লু যন্ত্রটি সাত দিন ধরে অকেজো হয়ে আছে। সরকারের কাছে বর্তমানে এ যন্ত্রটি মজুদ নেই। বিদেশ হতে আমদানি করা এ যন্ত্রটি দেশে আসতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। এ সময়ে জেলার করোনা পরীক্ষা ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাই এ যন্ত্রটি মেডিকেল কলেজকে সরবরাহের জন্য বিজিএমইএ-এর কাছে অনুরোধ জানালে তারা এ বায়োসেপ্টিক কেবিনেটটি খুব শিগগিরই দেশের বাজার থেকে কিনে মেডিকেল কলেজকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এদিকে, গাজীপুরে সাতদিন ধরে পিসিআর মেশিন নষ্ট থাকায় করোনা পরীক্ষার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের তেতুঁইবাড়িতে অবস্থিত শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ঢাকার মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। আর নতুন পিসিআর মেশিন দেয়ার জন্য ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দিয়েছেন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবদুল কাদের জানান, একটি পিসিআর মেশিনের তিনটি পার্ট থাকে এরমধ্যে বায়োসেপ্টিক কেবিনেটে ল্যামিনার ফ্লু যন্ত্রটিতে গত কয়েকদিন ধরেই সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। স্বাস্থ্য অধিদফতরে জানানো হলে একটি বিশেষজ্ঞ দল গত ২৭ জুন ল্যাব পরিদর্শন করে হাসপাতালে এসে বায়োসেপ্টিক কেবিনেট পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়। পরদিন সোমবার সকালে নমুনা পরীক্ষার কাজ চলাকালে মেশিনটি পুরোপুরি বিকল হয়ে পড়ে। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভান্ডারে কোন বায়োসেপ্টিক কেবিনেটর নেই। আমদানী করা মেশিন জাহাজে আছে। তাই আগামী আগষ্টের আগে মেশিন চালুর সম্ভবনা নেই জানানো হয়েছে অধিদপ্তর থেকে। 

গাজীপুরের সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান জানান, গাজীপুরে প্রতিদিন গড়ে ৪শ’টির মতো নমুনা পরীক্ষা হয়। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেশিন নষ্ট হওয়ায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ল্যাব ও ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। 
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে