যশোরঃ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ৯৫ জন সেবিকার করোনা প্রণোদনার টাকা কেটে নেয়ার ঘটনা ফাঁস হওয়ায় তোলপাড় হয়েছে। এজি অফিসের নাম করে প্রতিজনের কাছ থেকে ১৫শ’ করে মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৫শ’ টাকা আদায় করেছিলেন হাসপাতালের ক্যাশিয়ার ইস্রাফিল হোসেন। ঘটনা সামাল দেয়ার জন্য সেবিকাদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আক্তারুজ্জামান জানান, এজি অফিস ও অডিটের ঘুষ দেয়া বাবদ সেবিকাদের টাকা কম দেয়া হয়েছিলো।
হাসপাতালের ক্যাশিয়ার ইস্রাফিল হোসেন জানান, করোনা সম্মুখযোদ্ধা হাসপাতালের ৯৫ সেবিকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বিশেষ ভাতার টাকা আসে। প্রতি জনের মূল বেতনের দুটি সমান প্রণোদনার টাকা দেয়া হয়। এসময় বিভিন্ন সেক্টর ম্যানেজ করা বাবদ প্রতি জনের কাছ থেকে দেড় হাজার করে টাকা কেটে রাখা হয়েছিলো। বিষয়টি হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে আগেই অবগত করা হয়েছিলো। তিনি আরও জানান, তত্ত্বাবধায়েকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ২০ জন সেবিকার টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। বাকিদের টাকা আাগমী সোমবার দেয়া হবে। টাকা কেটে নেয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন স্বার্থ ছিলোনা। বিভিন্ন সেক্টরে ঘুষ দেয়ার জন্য ওই টাকা কাটা হয়েছিলো।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আক্তারুজ্জামান জানান, এজি অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয়না। ক্যাশিয়ার তাকে বলেছিলেন সেখানে ঘুষের টাকা দিতে হয়। যে কারণে এজি অফিস ও হাসপাতালের অডিট বাবদ প্রতি জনের কাছ থেকে দেড় হাজার করে টাকা রাখা হয়েছিলো। জেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের নির্দেশে সকলের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নে তত্ত্বাবধায়ক জানান, টাকা কেটে নেয়ার ঘটনটি সত্য। আবার তাদের টাকা ফেরতও দেয়া হচ্ছে। তাই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা জানান, সেবিকাদের প্রণোদনার টাকা কেটে নেয়ার ঘটনাটি জানার সাথেই হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে বিস্তারিত জেনেছি।