মানিকগঞ্জঃ জেলার হরিরামপুরের ঝিটকা বাজারে মরিচের পাইকারি আড়তে মরিচের দাম ৪-৫ টাকা কেজি। মরিচ তোলা এবং পরিবহন খরচ ৭ টাকা হলেও বিক্রি করতে হচ্ছে ৪-৫ টাকায়। প্রতিদিন মরিচ না তুলতে পারলে মরিচের ফলন কমে যাবে। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে মরিচও তুলতে হচ্ছে।
গত সোমবার হরিরামপুর উপজেলার মরিচের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার ঝিটকাতে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক ঠিকমতো মরিচ তুলতে না পারলেও অল্প কিছু মরিচ নিয়ে আসছেন, সে মরিচ ও দাম পাচ্ছে না। অনেকে বিক্রিও করতে পারছেননা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর হরিরামপুরে ১২৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। উপজেলার বাল্লা, গালা আর গোপীনাথপুর ইউনিয়নে মরিচের বেশি চাষ হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নে।
উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের বাস্তা এলাকার মরিচ চাষী আজাদ জানান, ১০ বিঘা জমিতে ২ ভাই মিলে মরিচ চাষ করেছেন। মাস খানেক আগে ১২-২০ টাকা পর্যন্ত মরিচ বিক্রি করলও এখন ৫ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাদের প্রতি কেজি মরিচ তুলতেই খরচ হচ্ছে ৫ টাকা। পরিবহন খরচ কেজি প্রতি ১-২ টাকা। প্রতিদিন ২০০-২৫০ কেজি মরিচ বিক্রি করতে পারেন তিনি। ঝিটকা বাজার আর বাস্তা আড়তে তিনি মরিচ বিক্রি করে থাকেন বলেও জানান।
মরিচ চাষী মতি মিয়া জানান, ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন তবে মরিচের দাম কমে যাওয়ায় হতাশায় আছেন।
কৌড়ী গ্রামের নুরু মিয়া জানান, ৫ পাখি জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। ঝিটকা বাজারে ৬০ কেজি মরিচ এনে ৩ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন। খরচের টাকা না উঠায় কিছু ফেলে দিয়েছেন। মরিচ তুলতেই ৫ টাকা চলে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গোপীনাথপুর গ্রামের ফারুক ও ইউসুফ জানান, ৯০ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। ৬৮ কেজি মরিচ নিয়ে বাজারে এনেছেন। কেউ দাম ও জিজ্ঞেস করছেনা। মরিচ বিক্রি না হলে ফেলে দিবেন বলেও জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার মুঠোফোনে জানান, এ বছর হরিরামপুরে ১২৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। আগের চেয়ে উপজেলায় মরিচের উৎপাদন অনেকগুনে বেড়েছে।সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট এর দিকে নজর দিলে আমরা এ সমস্যা থেকে উৎরাতে পারবো।