রাজশাহীঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক সভাপতির অনার্স পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় নি অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এখনো উদ্ধার হননি ওই কলেজ ছাত্রী। ফলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় এখনো চলছে নানা আলোচনা। আর ওই ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন চার দিন পর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (৮ জুন) রাতে পুঠিয়ার বেলপুকুর ইউনিয়নের এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান বানেশ্বর সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বানেশ্বর ইউনিয়নের আব্দুস সোবহানের ছেলে দেলোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় পরদিন বুধবার (৯ জুন) আরএমপির বেলপুকুর থানায় দেলোয়ারসহ তার কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মেয়ের পরিবার। কিন্ত জিডির পর ৭২ ঘণ্টা পরও তাদের কোনো অবস্থান জানতে পারেনি পুলিশ। সন্ধান মেলেনি বানেশ^র কলেজে অর্নাস পড়ুয়া ওই ছাত্রীর। এখনো পর্যন্ত নিরুদ্দেশ তারা।
বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার (৯ জুন) পুঠিয়ার বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদির বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। শনিবার (১২ জুন) বিকেলে তার বক্তব্যের জন্য ফোন করা হলে ওই ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। তবে ছাত্রলীগ সভাপতির পদে থেকে এ ধরণের কর্মকান্ড গঠনতন্ত্র বহির্ভূত এবং বিবাহিত কেউ পদে থাকতে পারেনা বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির কয়েকজন নেতা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছেই শুনলাম। খোঁজ নিয়ে পরে জানাব’। আর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি করোনা পজেটিভ হয়ে বাসায় আছি।’ এসব বিষয়ে আর কোনো উত্তর দেন নি তিনি।
এ ব্যাপারে বেলপুকুর থানার ওসি আলমগির হোসেন বলেন, গত বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ করে মেয়ের পরিবার। ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। তবে এখনো তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। যেহেতু দুজনই ম্যাচিউরড, তারা হয়তো বিয়ে করে ফেলেছে।