পটুয়াখালীঃ জেলার কুয়াকাটায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্তেও অবৈধভাবে মাছ ধরার দায়ে ৪ মাছ ধরা ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে গ্রেফতার করেছে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ। শুক্রবার রাতে বঙ্গোপসাগরের চর বিজয় এলাকা থেকে এসব জেলেদেরকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ১ মণ ডাডী মাছ ও ১ লাখ মিটার অবৈধ ঘঁন ফাসের জাল আটক করা হয়।
জানা যায়, ৬৫ দিনের অবরোধ উপেক্ষা করে সমুদ্রে শত শত ট্রলারে মাছ শিকার করছে। খোলা রয়েছে আলীপুর-মহিপুর,রাঙ্গাবালী,পায়রা বন্দর,বরগুনার তালতলীসহ উপকুলের মৎস্য আড়তগুলো। বরফ কলে বরফ উৎপাদন চলছে অহরহ। এনিয়ে খোদ জেলেদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। জেলেদের আহরনকৃত মাছ পিকআপ ভ্যান ও পরিবহন যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হলেও প্রশাসন নিরব রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক একাধিক জেলেরা এ প্রতিবেদককে বলেন, আড়তদারদের মধ্যস্ততায় সমুদ্র উপকুলের অনেক জেলেরা ৫-১০ হাজার টাকা চুক্তিতে সমুদ্রে মাছ শিকার করছে। তাদের কাছে ধার্যকৃত টাকা দিতে আড়তদাররা চাপ সৃষ্টি করছে। জেলেরা আরও জানান, যে সকল নৌকা বা ট্রলার টাকা দিবে সমুদ্রে শুধুমাত্র তারাই মাছ শিকার করতে পারবেন। টাকা না দিয়ে সমুদ্রে নামলে তাদেরকে আটক করছে নৌ-পুলিশ ও কোষ্টগার্ড এমনটাই অভিযোগ জেলেদের।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা সাংবাকিদের জানায়, রাত ১১টার দিকে গ্রেফতারকৃত ট্রলারের মালিক আসাদুলের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, মোশারেফের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, আলামীনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ও হানিফের ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। গ্রেফতারকৃত জেলেদের কাছ থেকে মুচলেখা রেখে ছেড়ে দেয়া হয় এবং ট্রলার ও জাল নিষেধাজ্ঞা কালীন সময় পর্যন্ত আটক করে রাখা হয়।
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশের এএসআই কামরুল ইসলাম গনমাধ্যমকে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব ট্রলার ও জেলেদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারী নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে সমুদ্রে নৌ-পুলিশের টহল জোরদার থাকবে বলে তিনি জানান।