রাজশাহীঃ জেলার মোহনপুরে মামীর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ভাগ্নের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে অভিযুক্ত ভাগ্নেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ওই ব্যক্তির নাম মো. শাহিন আলম (২৮)। তিনি মোহনপুরের কেশরহাট পৌরসভার হরিদাগাছি এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে। ধর্ষণের শিকার নারীর বাসাও একই এলাকায়। তিনি এলাকার সম্পর্কে শাহিনের মামী হন।
ওই নারীর স্বামী বুলবুল হোসেন বলেন, আমার স্ত্রীকে প্রায় দুই-তিন মাস থেকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল শাহিন। বিষয়টি আমার স্ত্রী আমাকে জানালে তাকে এমনটা করতে নিষেধ করি এবং এলাকার ভাগ্নে হওয়ায় সেসময় পুলিশের শরনাপন্ন না হয়ে তাকে মাফ করে দিই। কিন্ত সবশেষ গত রবিবার (৬ জুন) রাতে সে আমার ঘরে প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকে। আমার স্ত্রী আলু ভর্তা করার জন্য সরিষার তৈল নিয়ে ঘরে ঢুকলে সে আমার স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে।
বুলবুল জানান, কেশরহাট বাজারে তার কসমেটিকসের একটি দোকান রয়েছে। ফলে ওইদিন রাতে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরলে এমন ঘটনা দেখতে পান। তখন তার উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরের জানালা ভেঙ্গে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় শাহিন। পরদিন সোমবার (৭ জুন) মোহনপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন তিনি।
এ ব্যাপারে মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম আগামী নিউজকে বলেন, থানায় মামলা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শাহিন আলমকে গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আর ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।