মানিকগঞ্জঃ জেলার জেলার শিবালয় উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আলামিন জোয়ারদ্দারর বিরুদ্ধে। আলামিনের বাড়ি শিবালয় থানার রাধাকান্তপুর গ্রামে ওমর আলী জোয়ারদ্দারের ছেলে।
গত ১লা মে শনিবার বিকেল ৩.৪৫ ঘটিকায় তরুণীর মা বাড়ির পাশে চকে ঘাস কাটতে যায়। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে আলামিন জোয়াদ্দার তাকে জরিয়ে ধরে। তরুণী ডাক চিৎকারের চেষ্টা করলে তার মুখে উরনা দিয়ে চেপে ধরে বলে আমিতো তোমাকে বিয়ে করবো।
এভাবে জরাজরির করার পর তরুণী শক্তিহীন হয়ে পরায় আলামিন জোয়ারদ্দার তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে ঘরের মেঝে ফেলে রেখে চলে যায়। এসময় তরুণীর মা চক থেকে বাড়ি এসে দেখে আলামিন জোয়ারদ্দার তার বাড়ি থেকে নেমে যায় এবং সে ঘরে ঢুকে দেখে তার মেয়ে ঘরের মেঝতে পরে আছে। তার মেয়েকে বলে তোর এ অবস্থা কেন? তখন তার মায়ের কাছে বিস্তারিত জানায়। পরবর্তীতে তার মা আত্মীয় স্বজনদের নিকট আলোচনা করে। ৩ মে সোমবার সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকার সময় তরুণী বিয়ের দাবিতে আলামিনের বাসায় গেলে ধর্ষকের ভাই সোলায়মান, পিতা-ওমর আলী ,মা হাবীয়া, ভাবী ফরিদা ও চাচা গফুর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাতে রাখে। পরদিন ধর্ষকের ভাই সোলেমান ভোর ৪.৩০ ঘটিকার সময় স্থানীয় সন্ত্রাস বাহীনি দিয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিও হুমকি দেয়।
আলামিনের মা হাবিয়া বেগম তরুণীর চুলের মুঠি ধরে লাথি মেরে ফেলে এরপর এলোপাথাড়ি ভাবে কিলঘুষি মারে। এসময় সঙ্গে থাকে আলামিনের ভাবি ফরিদা বেগম তিনিও অমানবিক ভাবে অত্যাচার করে তরুণীর প্রতি। আলামিনের বাবা ওমর আলী শাবল দিয়ে তরুণীকে আঘাত করে এবং ধর্ষকের চাচা বিভিন্ন হুমকি দামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তরুণীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। তরুণীর মা কোনো পথ না পেয়ে ১৭ মে শিবালয় থানায় আলামিন জোয়ারদ্দারসহ ৫ জনের বিরদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ ( সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১), ৩২৩ ও ৫০৬ পেনেল কোড ১৮৬০ এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের করার পর তরুণীকে তারা ঘরে বাইরে রাস্তা ঘাটে সবজায়গাতেই আপোষ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। আপষের জন্য তরুণীকে রাজি করাতে না পেরে তার বাবার কাজ বন্ধ করে দেয় ।
এ বিষয়ে শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ কবীর জানান, মামলাটি তদন্তধীন আছে এবং আসামী গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।