বগুড়াঃ আজ বিশ্ব জীববৈচিত্র দিবস (২২ মে)। অবহেলা, অনাদর আর নিষ্ঠুরতায় জীববৈচিত্রে বিলীন হতে বসেছে অনেক প্রাণ। অনেক প্রানী ও উদ্ভিদ অস্তিত্বসংকট নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে। জীববৈচিত্রে তেমনি অস্তিত্বসংকটাপন্ন এক ঔষধি উদ্ভিদ তিত বেগুন।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন পথ প্রান্তরে অল্পবিস্তর দেখা মিলছে তিত বেগুন গাছ। ছোট ছোট সাদা ফুলের মাঝে হলুদ রঙের তিত বেগুন ফুল ঝোপঝাড়ে ছড়িয়েছে অপরূপ শোভা। ঝোপঝাড় ছাপিয়ে ওই ফুল মন কেড়েছে নিসর্গ প্রেমিকদেরও।
দুপচাঁচিয়া জাহানারা কামরুজ্জামান কলেজের কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিনেশ চন্দ্র বসাক আগামী নিউজ কে বলেন, তিত বেগুন রেল লাইন, পুকুর পাড়, পতিত জায়গা, রাস্তার পাশে এবং ঝোপঝাড়ে দেখা যায়। এই গাছ কাঁটা সংযুক্ত বেগুন জাতীয় গুল্ম উদ্ভিদ। তিত বেগুন গাছ কন্টকারী নামেও অভিহিত। তিত বেগুন গাছ ১ থেকে ২ মিটার লম্বা হয়।
তিনি আরও বলেন, তিত বেগুন গাছ অত্যন্ত ঔষধি গুনসম্পন্ন। আগে ব্যাপক সংখ্যক দেখা গেলেও পতিত জায়গায় বসতি নির্মানের জন্য ঝোপঝাড় কেটে ফেলায় প্রকৃতিতে বহুলাংশে কমে এসেছে তিত বেগুন গাছ। এছাড়া জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করতে এবং অনেকে আগাছা ভেবে তিত বেগুন গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলছে।
উইকিপিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, তিত বেগুন গাছের ফুল, ফল, কান্ড, পাতা, শিকড় বিভিন্ন রোগের জন্য উপকারী। হজম শক্তি বাড়াতে, কৃমি রোগ সারাতে, হাঁপানি রোগ সারাতে, যৌন সমস্যার সমাধানে, গরুর ক্ষুরা রোগ, গরুর দুধ বৃদ্ধি, গরুর বাদলা রোগ, বাতজ্বর ও শরীরের ব্যাথার চিকিৎসার জন্য তিত বেগুন একটি মহা ঔষধি গাছ।