Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বরিশালে বিয়ে বাড়িতে নির্বাচনী সহিংসতা, নিহত ২


আগামী নিউজ | জহির খান, বরিশাল জেলার প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২০, ২০২১, ০৬:১৬ পিএম
বরিশালে বিয়ে বাড়িতে নির্বাচনী সহিংসতা, নিহত ২

ছবি: সংগৃহীত

বরিশালঃ বিয়ে বাড়িতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ১৫ জন।

নিহতরা হলেন- স্থানীয় সামসুল হকের পুত্র দিনমজুর সিদ্দিকুর রহমান (৩০) ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ঢালীর ভাই আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুস সাত্তার ঢালী (৫৭)। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলে সিদ্দিকুর রহমান এবং বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়ার পথে আব্দুস সত্তার মারা যায়।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে উপজেলার উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের সলদি গ্রামের ইউপি সদস্য রবিউল ঢালীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার লেত্রা গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর উলানিয়া ইউনিয়ের স্থগিত হওয়া ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কালাম বেপারী ও যুবলীগের আহবায়ক জামাল রাঢ়ীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। যা নিয়ে এর আগেও সংঘর্ষে আরও একজন নিহত হয়েছিলো। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ঢালীর বাড়িতে তার নাতনীর বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল।

ওই অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক জামাল রাঢ়ীও আসেন। এ খবর পেয়ে একই গ্রামের কামাল বেপারী ও সুমন বেপারীর নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বিয়ে বাড়িতে অর্তকিতভাবে হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই দিনমজুর সিদ্দিকুর রহমান নিহত হন। এছাড়া ইউপি সদস্যর ভাই সাত্তার ঢালীকে মুমূর্ষ অস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর দেড়টার দিকে সে মারা যায়। এছাড়া আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতদের মধ্যে দিনমজুর সিদ্দিকুর রহমান মেম্বারের বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ক্ষেতে কাজ করছিলেন। ঘটনা দেখে তিনি ক্ষেত থেকে উঠে রাস্তার উপর দাঁড়ালে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, হামলাকারীদের অধিকাংশের বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জের বাহিরে। তাদের ভাড়া করে আনা হয়েছে। পুলিশ যে তিনজনকে আটক করেছে তারাও বহিরাগত।

মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ঘটনাস্থলসহ উপজেলার প্রতিটি গুরুত্বপুর্ণ মোড় এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনী সহিংসতায় এর আগে গত ১১ এপ্রিল উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নে সাইফুল সরদার নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পুন:রায় এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে