রাজশাহীঃ নানা জাতের সুস্বাদু আমে শুধু রাষ্ট্রপতি একা নন, দেশবাসী মুগ্ধ। প্রতি বছর এখানকার আম ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে শুধু আমের ওপর নির্ভর করে সংসার চলে ১০ লাখ পরিবারের। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলায় প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার আমের ব্যবসা হয়।
এবছর পরিবহণ ও বাজারজাতে প্রতিবন্ধকতা থাকায় ফিকে হতে বসেছে এ অঞ্চলের হাজারো আমচাষীর স্বপ্ন। বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন বাগান মালিক, মৌসুমী ব্যবসায়ী, আড়তদারসহ সংশ্লিষ্টরা।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে তাদের কপালে চিন্তার ভাজ। বিশেষ করে মৌসুমি আম ব্যবসায়ীরা বেশ চিন্তিত।
জেলায় এ বছর ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছে। যেখানে হেক্টর প্রতি লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১১.৯ টন।
তথ্যানুযায়ী, জেলায় আম বাগান রয়েছে ৮৬ হাজার ৬৭৫ জনের। আর আম সংগ্রহ, পরিবহণ ও বাজারজাতকরণে নিয়োজিত জনবল সংখ্যা ৫০ হাজার ৫৩২ জন। এরমধ্যে বাঘা উপজেলায় সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ১১০ জন রয়েছেন। বাড়তি পরিচর্যায় আমের গুণাগুণ ও চেহারা ভাল থাকায় চাহিদামতো দামও পাওয়া যায়।
সূত্রমতে, যথেষ্ট প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও রাজশাহী থেকে খুব কম পরিমাণ আম রপ্তানি হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবার কয়েকগুণ বেশি রপ্তানির আশা করা হলেও করোনার প্রভাবে তা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে কৃষকদের দুশ্চিন্তায় কৃষি অফিস তাদের পাশে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কেজেএম আব্দুল আওয়াল।