গাইবান্ধাঃ করোনা সংক্রমনের ঝুকি বাড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করেই গাইবান্ধার বিভিন্ন মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আসন্ন ঈদুল ফিতরের শেষ মূহুর্তের কেনাকাটায় মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন।
গাইবান্ধার সাতটি উপজেলা ও চারটি পৌর এলাকার বিভিন্ন মার্কেট সরেজমিনে ঘুরে দেখে গেছে ভয়াবহ চিত্র। প্রতিটি মার্কেটেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীর। বিশেষ করে তৈরী পোষাক ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীর। পরিবারের শিশু সহ সকল বয়সিদের নিয়ে মানুষ ভীর করছে মার্কেটে। চলতি করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের ভীতিকে তোয়াক্কা না করেই ভীরের মধ্যে ঠাসাঠাসি করেই কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। সেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। বেশীরভাগ মানুষে মুখে মাস্ক নেই।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত দেশব্যাপী ‘সর্বাত্মক’ লকডাউনের কারণে টানা এগারো দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৫ এপ্রিল খুলেছে গাইবান্ধার দোকানপাট ও বিপনী বিতান। এদিকে মার্কেট খুলে দেয়ার পর ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেট-বিপনী বিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভীড় করছেন। সেইসাথে রাস্তায় মানুষের চলাচলও বেড়েছে। ব্যক্তিগত যানবাহন, মোটরসাইকেল, রিকশা ইত্যাদির চলাচল আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।
মঙ্গলবার (১১ মে) জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী এ পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলায় মোট ১ হাজার ৭২৩ জনের দেহে করোনার সংক্রমন সনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে সুস্থ্ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৬৬৭ জন এবং চিকিৎসাধীন আছেন ৩৬ জন এবং এ পর্যন্ত জেলায় মোট ২০জন করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
সচেতন মানুষের অভিযোগ, করোনা সংক্রমণ নিয়ে বেশীরভাগ মানুষই অসচেতন। চলাচলে অসতর্কতা এবং নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব অনেকেই মেনে চলছেন না। সাধারণ মানুষ হাঁটবাজার, দোকানপাট ও রাস্তাঘাটে অবাধে চলাচল করছেন। চলছে চায়ের দোকানে আড্ডা। বেশীরভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কমেছে প্রশাসনের নজরদারিও। এতে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা।