মৌলভীবাজারঃ জেলার বড়লেখা উপজেলার ১ নং বর্নি ইউনিয়নের বেসরকারি ভাবে পরিচালিত কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক ও কর্মচারীরা মানবেতর জীবন করছেন।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বৈশ্বিক মহামারিতে করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত দেশ গুলোর সাথে বাংলাদেশ ও যুক্ত। তাই এর প্রদুর্ভাব রোদে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্দ ঘোষনার আওতায় এই কিন্ডারগার্টেন গুলো ও বন্দ হয়ে যায়। যার ফলে গত মার্চ ২০২০ থেকে বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকরা কর্মহীন হয়ে পড়েন। শিক্ষকতা পেশায় জড়িত থাকায় তাদের বিকল্প কোন আয়ের উৎস নাই। শিক্ষকথা করে মাসে যে বেতন পান তা দিয়েই তাদের সংসারের অভাব পুরন করে থাকেন। এই কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক দের বেতন পরিশুদ করা হয় সাধারণত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক হারে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই।
লক ডাউনের প্রভাবে বিদ্যালয় গুলো বন্ধ রয়েছে। তাই ছাত্রছাত্রীরা অনুপস্থিত থাকায় তাদের কাছে থেকে কোন টাকা না পাওয়াতে শিক্ষক দের বেতন ও দেওয়া হচ্ছেনা।
করোনার প্রভাবে কর্মহীন দের দেশের সরকার ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারী সামাজিক সংগঠন ও সমাজসেবী সমাজের বিত্তবান প্রবাসীরা বিভিন্ন ধরনের মানবিক সাহায্য সহযোগিতা করলেও এই শিক্ষকরা পাচ্ছেন না কোন সহযোগিতা। তাই তাদের স্ত্রী সন্তান সহ পরিবার কে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে অত্যান্ত দুংখ্য কষ্টের মধ্যে দিয়েই দিনাতি পাত করছেন।
জানা গেছে বর্নি ইউনিয়নে মোট ৭ টি বেসরকারী কিন্ডার গার্ডেন রয়েছে। ৭ টি বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ২৫০ জন কর্মচারী ৫০ জন
তাদের অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের অবর্ননীয় দুংখ্য কষ্টের কথা। যদি তাদের এই গভীর সংকটময় মুহুর্তে সরকার কিংবা সরকারি বেসরকারী সামাজিক সংগঠনই কিংবা কোন দাতা ব্যাক্তি তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন তাহলে চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন। ও তাদের দুংখ কষ্টের সংসারে একটু আশার আলো জ্বলবে।