নারায়নগঞ্জঃ হেফাজতে ইসলামের হরতালের সময় নারায়ণগঞ্জে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আহমেদ হুমায়ূন কবীরের আদালতে জবানবন্দি দেন আবু বক্কর।
সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)৷
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, জবানবন্দিতে হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার নাম উঠে এসেছে ।
গ্রেপ্তার আবু বক্কর সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজির উত্তর পাড়া বায়তুল নাজাত জামে মসজিদের ইমাম এবং হেফাজতের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সক্রিয় সদস্য।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর পরিদর্শক আরিফুর রহমান জানান, আবু বক্করকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়৷ আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে সহিংসতায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, বর্ণনায় হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার নাম প্রকাশ করেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জবানবন্দির বরাত দিয়ে জানান, সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান পাটোয়ারি হরতাল সফল করতে আবু বক্করকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থানসহ জ্বালাও পোড়াও এবং গাড়ি ভাঙচুরের দায়িত্ব দেন।
এদিকে পিবিআই নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান, ১৫ এপ্রিল পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ করা একটি মামলার দায়িত্ব নেয় সংস্থাটি। মামলাটি অধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছেন তারা। ওই ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।
২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতালে সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড় থেকে শিমরাইল এলাকা পর্যন্ত হরতালকারীরা দখলে রাখে। তারা ব্যাপক সহিংসতা চালায়।
যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্তত ৫০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় ১৮টি গাড়িতে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নয়টি মামলা হয়েছে।
আগামীনিউজ/জনী